মালয়েশিয়া ফেরত ১৭ কর্মীর কান্না - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:২৫, ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

মালয়েশিয়া ফেরত ১৭ কর্মীর কান্না

newsup
প্রকাশিত এপ্রিল ৬, ২০২৩
মালয়েশিয়া ফেরত ১৭ কর্মীর কান্না

বিশেষ প্রতিবেদন:যশোরের জাহাঙ্গীর আলী সব নিয়ম মেনে বৈধভাবে গিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। সেখানে কনস্ট্রাকশন কাজের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। নিজের একমাত্র সম্বল গাড়িটি বিক্রি করে চার লাখ টাকা খরচ করে সচ্ছলতার আশায় মালয়েশিয়া যান। তবে যাওয়ার পর কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকেই তাকে ফেরত পাঠানো হয় দেশে। বর্তমানে দেশে বেকার জীবন পার করছেন জাহাঙ্গীর। তার মতো এভাবে ফেরত আসেন আরও ১৭ জন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি ১৭ জন কর্মীকে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কন্সট্রাকশনের কাজে পাঠায় রিক্রুটিং এজেন্সি ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল (আরএল-১৩২৭)। কোম্পানিতে পাঠানোর পর ভিসার মেয়াদ না থাকায় একদিন পরই ১ ফেব্রুয়ারি তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

তারা হলেন- জামালপুরের ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সুজন হোসেন, রফিকুল ইসলাম; চুয়াডাঙ্গার রাজিব আহাম্মেদ, মো. আব্দুল কাদির, মো. মজিবুর আলী, মো. মোহাত আলী; বগুড়ার মো. শফিকুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আসাদুল ইসলাম, মো. রিদয় হোসেন, মো. মোতালেব হোসেন; কুষ্টিয়ার মো. আজমুল হোসেন, আজিজুল ইসলাম; যশোরের মো. আল আমিন হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলী।

তারা অভিযোগ করেনন, কলিং ভিসার মেয়াদ শেষ জানা সত্ত্বেও ওই রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের বিএমইটি ছাড়পত্র নিয়ে সেখানে পাঠায়। কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন থেকে তাদের এ বিষয়ে জানানো হয়। পরে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

তারা আরও জানান, দেশে ফেরত আসার পর রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের আবার পাঠানোর কথা জানায়। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যেও পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও গড়িমসি করছে এখন। এতে পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই মাস।

যশোরের মো. জাহাঙ্গীর আলী বলেন, ৩০ জানুয়ারি আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ। গত ২৪ জানুয়ারি আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায় রিক্রুটিং এজেন্সি। ২৭ জানুয়ারি আমাদের ফ্লাইট ছিল। কিন্তু কোনও একটা ঝামেলার কারণে আমাদের ফ্লাইট বাতিল হয়। পরদিন সকালে ৭টায় ফ্লাইট থাকলেও কুয়াশার কারণে যেতে পারিনি। পরদিন সন্ধ্যার ফ্লাইটে আমরা কুয়ালালামপুর পৌঁছাই রাত দেড়টার দিকে। আর সেদিন রাত ১২টায় ভিসার মেয়াদ শেষ। পরে আমাদের দেশে ফেরত পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, এজেন্সি থেকে আমাদের আর কিছু জানায়নি। আমাকে বলছিল ২৫ মার্চ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে। আমি বলেছি ৩০ মার্চের মধ্যে পাঠাইতে। না পারলে টাকা ফেরত দিতে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।