ডেস্ক নিউজ: নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত ইত্যাদি আমলগুলো ফরজ। প্রতিটি সামর্থবান মুসলিমের জন্য যথার্থ নিয়মানুযায়ী এই এবাদতগুলো করা আবশ্যক। এর বাইরে একজন মুমিনের কাছে সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলো- পবিত্র কোরআনে কারিম তিলাওয়াত। কোরআন-সুন্নাহে কোরআন তিলাওয়াতের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।’ (বুখারি শরিফ) অন্য হাদিসে কোরআন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে শ্রেষ্ঠ মানুষ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে তা শেখায়।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৫০২৭)
প্রকৃতপক্ষে কোরআন তিলাওয়াতের নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই; দিনে-রাতে, নামাজের আগে-পরে যেকোনও সময়ই কোরআন তিলাওয়াত করা যায়। কিন্তু এরপরও এমন কিছু মুহূর্ত আছে যখন পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত তুলনামূলক বেশি ফজিলতের এবং আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়।
এক. আল্লামা ইবনে সালাহ, সাইয়েদ কুতুব ও আরেও বেশ কিছু সংখ্যক মুফাসসিরের মতে- ফজরের সময় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের উত্তম মুহূর্ত। তারা দলিল হিসেবে কোরআনের এই আয়াত পেশ করেছেন, ‘সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির গাঢ় অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ ও ফজরের কুরআন পাঠ প্রতিষ্ঠা করো। নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন পাঠ (ফেরেশতাগণের) সরাসরি সাক্ষ্য হয়।’ সুরা ইসরা, আয়াত: ৭৮)
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।