বিশেষ প্রতিবেদন:আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন (৪৭০ কোটি) ডলার ঋণের অনুমোদন পাওয়া গেছে আগেই। আইএমএফ ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট ৭ কিস্তিতে এই ঋণ বিতরণ করবে। এই ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার গত ৩০ জানুয়ারি ছাড় করা হয়। আগামী নভেম্বরে ছাড় দেওয়া হবে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি। দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ পেতে মানতে হবে কিছু শর্ত। একইসঙ্গে আগামী জুনে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নতুন বাজেটেও কিছু প্রতিশ্রুতি বা শর্ত থাকার কথা রয়েছে। এসব শর্তের অগ্রগতি কতটুকু হলো, তা জানতে আইএমএফের একটি টিম বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকায় পৌঁছেই আইএমএফ’র এই দলটি তিন ভাগে ভাগ হয়ে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সফরের প্রথম দিন মঙ্গলবার দিনের প্রথমার্ধে সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের কর্মকর্তা এবং দুপুরে সার্বিক অর্থনীতি পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রতিনিধি দলের এক অংশ। অপর অংশটি বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে।
জানা গেছে বুধবার (২৬ এপ্রিল) এই দুটি টিমই আবারও বিভক্ত হয়ে সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আইএমএফ-এর ঋণ চুক্তিতে প্রায় ৩৮টি শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে আগামী জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, এবারের সফরে সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি যাচাই করবে আইএমএফ টিম। এই ঋণের বাকি কিস্তির অর্থ পেতে আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যেসব শর্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে সরকার, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আগামী বাজেটে কী কী উদ্যোগ থাকছে, তাও এবার পর্যালোচনা করবে ঢকায় সফররত আইএমএফের দলটি।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।