বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ যেসব কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল তাজমহল - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৬:২১, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ যেসব কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল তাজমহল

newsup
প্রকাশিত মে ৫, ২০২৩
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ যেসব কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল তাজমহল

ডেস্ক নিউজ: কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস মহামারি ভারতের পর্যটন শিল্পকে থমকে দিয়েছে। জীবাণুটির বিস্তার রোধে দেশটির অমূল্য স্থাপনা তাজমহল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত ঐতিহাসিক এই স্মৃতিস্তম্ভে প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার পর্যটক সমাগম হয়।

এবারই প্রথম নয়, আরও তিনবার পর্যটকদের আকর্ষণ তাজমহলে তালা ঝুলিয়েছে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়। তবে ৪২ বছর পর আবারও এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো।

১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রথমবার বন্ধ রাখা হয়েছিল তাজমহল। তখন এর উপরিভাগ বাঁশ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। জাপানি বোমারু বিমানকে বিভ্রান্ত করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। তাছাড়া আশঙ্কা ছিল, হিটলারের জার্মান বিমানবাহিনী আক্রমণ করতে পারে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেয়েছে তাজমহল।
এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাজমহল আবারও বন্ধ করা হয়েছিল, যাতে কোনও আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় সুরক্ষার জন্য এই স্মৃতিস্তম্ভের উপরিভাগ ঢেকে রাখা হয়।

সবশেষ ১৯৭৮ সালে ভয়াবহ বন্যার সময় তাজমহলের ফটকে তালা ঝুলেছিল। ৪২ বছর পর গত ১৭ মার্চ আবারও এটি বন্ধ হয়েছে।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল প্রয়াত স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মাণ করেন মোগল সম্রাট শাহজাহান। উর্দু ও ফার্সি ভাষায় রাখা হয় তাজমহলের নাম। তারকা ও বিদেশিদের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। ভারতের পর্যটন শিল্পের রাজস্ব আয়ের বৃহৎ উৎস এটি। করোনা ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই স্মৃতিস্তম্ভ।

শুধু তাজমহল নয়, ভারতের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর অর্ধশত জাদুঘরসহ ১৪৩টি ঐতিহাসিক স্থাপনা অস্থায়ীভাবে বন্ধ রেখেছে। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য দিল্লির লাল কেল্লা, হুমায়ুনের সমাধি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।