নতুন মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয় : শাহরিয়ার আলম

Daily Ajker Sylhet

newsup

২৪ মে ২০২৩, ০৪:২৭ অপরাহ্ণ


নতুন মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয় : শাহরিয়ার আলম

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা পলিসি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বুধবার বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

শাহরিয়ার আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকার বদ্ধপরিকর। এটা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। নির্বাচনের আগে পরে যে কেউ সহিংসতা করলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে।

বিএনপি নেতারাও সহিংসতা করলে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়ার সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

বিবৃতেতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি আজ ইমিগ্রেশন অ‌্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) (সি) (৩সি) ধারার আওতায় নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।

বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নতুন এই নীতির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পরে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে- ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

ব্লিনকেন বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সবার। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।

গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।