হতাশায় ব্রিটেনের শিক্ষার্থীরা - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:১৪, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

হতাশায় ব্রিটেনের শিক্ষার্থীরা

newsup
প্রকাশিত মে ২৬, ২০২৩
হতাশায় ব্রিটেনের শিক্ষার্থীরা

লন্ডন অফিস: আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ব্রিটেনে কেবল পিএইচডি ছাড়া অন্য কোনও কোর্সের শিক্ষার্থীদের স্পাউস বা পরিবারের সদস্যদের না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তবে এটিকে দেশটির হোম অফিসের অমানবিক ও অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষার্থী, ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির আইনজীবী ও শিক্ষকরা বলছেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে স্পাউস না আনার সিদ্ধান্ত স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা।

বৃহত্তর সিলেটের খ্যাতিমান আইইএলটিএস শিক্ষক কাজী মাহফুজুর রহমান বলেন, স্টুডেন্ট ভিসা থেকে ওয়ার্ক পারমিট বা অন্য কোনও ভিসায় সুইচ করার বিদ্যমান সুযোগটি বন্ধ করে দেওয়া প্রকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। কিন্তু জানুয়ারি থেকে কেবল পিএইচডি ছাড়া শিক্ষার্থীরা স্পাউস বা পরিবার আনতে না পারার যে পদ্ধতি ব্রিটিশ সরকার নিয়েছে, তা অমানবিক।

একজন শিক্ষার্থীর স্বামী বা স্ত্রী ব্রিটেনে থাকবেন নাকি দেশে থাকবেন, সে অধিকার শিক্ষার্থীর হাতে থাকা উচিত। আগামী জানুয়ারি সেশনে বাংলাদেশ থেকে আমাদের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী তাদের স্পাউস, পরিবারসহ ব্রিটেনে আসার জন্য আইইএলটিএস-সহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু ব্রিটেন সরকারের গতকালের ঘোষণায় স্পষ্টতই তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মনে হতাশা নেমে এসেছে।

কাজী মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, স্পাউস আনার নামে চুক্তিভিত্তিক বিয়ের নামে কিছু ভুয়া, যোগ্যতাহীন মানুষ গত কিছুদিনে ব্রিটেনে এসেছে এটা সত্য। কিন্তু কিছু প্রতারণার জন্য একজন শিক্ষার্থীর তার পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ বা পুরো সিস্টেমটাই বন্ধ করে দেওয়া হোম অফিসের যুক্তিসংগত সিদ্বান্ত নয়। হোম অফিস বরং অধিকতর যোগ্য ও দক্ষ স্পাউস আনার ক্ষেত্রে নতুন কিছু শর্তারোপ করতে পারতো। স্পাউস হিসেবে দক্ষ জনশক্তি ব্রিটেনে এলে তারা ব্রিটেনের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারতো।

পূর্ব লন্ডনের চ্যান্সেরি সলিসিটর্সের কর্ণধার ব্যারিস্টার ইকবাল হোসেন বলেন, হোম অফিসের গতকালের ঘোষণা স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা। একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আসা তার স্পাউস এ দেশে কাজ করে শিক্ষার্থীর বিশাল অঙ্কের টিউশন ফি, বাড়ি-ভাড়া ও দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতা করতে পারতো। ঘরে-বাইরে একজন শিক্ষার্থীকে তার স্পাউস সহযোগিতা না করতে পারলে ব্রিটেনে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করা দুরূহ ব্যাপার।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।