মৃত মা-বাবার জন্য সন্তানের করণীয় – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:৩০, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

মৃত মা-বাবার জন্য সন্তানের করণীয়

newsup
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২৩
মৃত মা-বাবার জন্য সন্তানের করণীয়

Manual2 Ad Code

ডেস্ক রিপোর্ট: পৃথিবীতে মানুষের যত প্রাপ্তি আছে, তার মধ্যে নেককার সন্তান অন্যতম। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ধন, ঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের অলঙ্কার-শোভা।’ (সুরা কাহাফ: ৪৬)।

পৃথিবী মানুষের কর্মের জায়গা। কর্মফল ভোগের স্থান পরকাল। কিন্তু পৃথিবীতে নেককার সন্তান রেখে গেলে মৃত্যুর পরও কর্ম জারি থাকে এবং তার ফল মৃত্যুপরবর্তী সময়ে ভোগ করা যায়।

এ প্রসঙ্গে একটি প্রসিদ্ধ হাদিস বর্ণিত আছে। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনও ব্যক্তি মারা যায়, তখন তার আমলের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল কখনও বন্ধ হয় না। এক. সদকায়ে জারিয়া, দুই. ওই ইলম যা দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয়, তিন. নেককার সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১৬৩১)

যখন মা-বাবা মারা যান, তখন নেককার সন্তানের বেশকিছু করণীয় বিষয় আছে। সেগুলো তুলে ধরা হলো-

১. মা-বাবার ঋণ পরিশোধ করা

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সন্তান সর্বপ্রথম দায়িত্ব হতে পারে তাদের রেখে যাওয়া ঋণ পরিশোধ করা। কারণ, রাসুল (সা.) ঋণ পরিশোধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন ব্যক্তির আত্মা তার ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে যায়, যতক্ষণ তা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৩)

২. শপথের কাফফারা

Manual2 Ad Code

মৃত্যুর আগে যদি ভুলকৃত হত্যাসহ মা-বাবার কোনও কাফফারা বাকি থাকে, তাহলে সন্তান তা পূরণ করবে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোনও মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্তপণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদকা (মাফ) করে দেয়, (তাহলে তা ভিন্ন কথা)। (সুরা আন-নিসা, আয়াত : ৯২)

৩. ওয়াদা বাস্তবায়ন করা

মা-বাবা যদি কারও সঙ্গে ভালো কাজের ওয়াদা করে যান, তাহলে সন্তান যথাসম্ভব তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ৩৪)

Manual5 Ad Code

৪. মানত পূরণ করা

Manual5 Ad Code

মা-বাবা কোনও মানত করে গেলে, সন্তান তার পক্ষ থেকে পূরণ করবে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘কোনও এক নারী রোজা রাখার মানত করেছিল, কিন্তু সে তা পূরণ করার আগেই মৃত্যুবরণ করলো। এরপর তার ভাই এ বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর কাছে আসলে তিনি বললেন, তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করো। (ইবনে হিববান, হাদিস : ২৮০)

৫. ক্ষমা প্রার্থনা করা

মৃত বাবা-মায়ের তরফ থেকে উপরোক্ত দায়িত্বগুলো পালনের পরও নেককার সন্তান তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। সেটা আল্লাহ এবং মানুষ সবার কাছেই। কারণ, সন্তান মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহতায়ালা তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। হাদিসে এসেছে, ‘মানুষের মৃত্যুর পর তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। তখন সে বলে, হে প্ৰভু! এটা কী জিনিস? তাকে বলা হয়, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৩৬)

৬. তাদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা

Manual5 Ad Code

এছাড়াও নেককার সন্তান তার বাবা-মায়ের জন্য এসব আমলও করতে পারে। যেমন- নফল নামাজ আদায় করা, কবর জিয়ারত করা, মা-বাবার ভালো কাজগুলো জারি রাখা, মা-বাবার গুনাহের কাজগুলো বন্ধ করা, কোরবানি করে সওয়াব পাঠানো, ওমরা করা, রোজা রাখা, মা-বাবার পক্ষ থেকে সদকা করা ইত্যাদি। এগুলোর প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা ফজিলত হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code