পিতা-মাতার হক আদায়ের ক্ষেত্রে খরচ দেওয়াই যথেষ্ট
১৩ সেপ্টে ২০২৩, ০১:২৭ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট: আজকাল অনেককে দেখা যায়, পিতা-মাতাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে নিজে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে থাকে। আবার কারো বাবা-মা শহরে থাকলেও নিজে স্ত্রীকে নিয়ে একই শহরে আলাদা বাসায় থাকে।
অনেক আধুনিক ও শিক্ষিত পরিবার তো রীতিমতো বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে একেবারে বৃদ্ধাশ্রমেই রেখে আসে। অবশ্য তাদের অনেকেই নিয়মিত পিতা-মাতার প্রয়োজনীয় খরচাদি যেমন খাবার-দাবার, পোশাক-আশাক, চিকিৎসা ইত্যাদির খরচ পৌঁছে দেয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাত এবং তাদের সঙ্গদান করতে পারে না বা করে না।
এখন প্রশ্ন হল, পিতা-মাতার হক আদায়ের ক্ষেত্রে কি শুধু তাদের খরচাদি দেওয়াই যথেষ্ট? নাকি তাদের সাথে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাত করা ও একাকীত্বে তাদের সঙ্গ দেওয়াও সন্তানের জন্য জরুরি?
সন্তানের ওপর পিতা-মাতার হক শুধু তাদের খোরপোষ দেওয়াই নয়। বরং তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা, মাঝে মাঝে দেখা-সাক্ষাত করা, একাকীত্বে তাদের সঙ্গ দেওয়া এবং প্রয়োজনে তাদের খেদমত করাও সন্তানের ওপর তাদের প্রাপ্য হক বা অধিকার।
এজন্য সন্তান পিতা-মাতা থেকে দূরে থাকতে চাইলে তাদের স্বতস্ফূর্ত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। পিতা-মাতার সম্মতি ছাড়া সন্তানের জন্য তাদের থেকে দূরে থাকা জায়েজ নয়।
এসবই আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্দেশিত ‘পিতা মাতার প্রতি সদাচরণ’ এর অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘আমি মানুষকে আদেশ করেছি তারা যেন পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করে।’ (সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৮)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে- ‘তোমার পালনকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো, পিতা-মাতার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের উফ্ পর্যন্ত বলো না এবং তাদের ধমক দিয়ো না; বরং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলো।’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ২৩)