ডেস্ক রিপোর্ট: ঘাড় মাসেহের বিষয়টি প্রমাণিত। তবে প্রচলিত পদ্ধতি ঠিক নয়। সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে, হাতের তালু দিয়ে মাথা মাসেহ করবে এবং সাথে সাথে হাতের তালুই গর্দান পর্যন্ত টেনে নিবে। আলাদা করে কান মাসেহের পরে হাতের পিঠ দিয়ে গর্দান মাসেহ করবে না।
গর্দান মাসেহ এর তারতিব বা ধারাবাহিকতা
প্রথমে মাথা এরপর কান অতঃপর গর্দান মাসেহ করা। গর্দান মাসেহ এর এই তারতিব হাদিসে বর্ণিত হয়নি, হানাফি ফিকহের আরবি কিতাবেও পাওয়া যায় না। সুতরাং এই তারতিবকে হানাফি মাজহাবের ফতওয়া বলা যায় না।
যে হাদিসে গর্দান মাসেহ এর কথা এসেছে সেখানে মাথার সঙ্গে গর্দান মাসেহ এর কথা এসেছে। কানের পরে মাসেহ এর কথা আসেনি।
(দেখুন: মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৫৯৫১, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৩২, আস সুনানুল কুবরা, বাইহাকী, হাদিস: ২৮২)
ইবনুল হুমাম ও আবু দাউদ (রহ.) এর রেওয়ায়েত দিয়ে দলিল পেশ করেছেন, যেখানে স্পষ্ট আছে, গর্দান মাসেহ হবে মাথা মাসেহ এর সাথেই। কানের পরে নয়। (ফাতহুল কাদির ১/৩৬)
দুই. হাতের পিঠ দিয়ে গর্দান মাসেহ করা
প্রচলিত পদ্ধতি হচ্ছে, হাতের পিঠ দিয়ে গর্দান মাসেহ করা। এই পদ্ধতি সঠিক নয়।
মাথা মাসেহ করা হয় হাতের তালু দিয়ে। গর্দান মাসেহ এর হাদিসে স্পষ্টই এসেছে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথা মাসেহ এর সাথেই গর্দান মাসেহ করেছেন। অর্থাৎ তিনি হাতকে গর্দান পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন।
এখানে পরিষ্কার যে, গর্দান তিনি হাতের তালু দ্বারা মাসেহ করেছেন। যদি তিনি পিঠ দ্বারা মাসেহ করতেন তাহলে হাদিসে সেই ভিন্ন পদ্ধতি বর্ণিত হতো। যেহেতু এটি বর্ণিত নেই তাই তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
হাতের তালু দিয়ে মাসেহ করার বিষয়টি হানাফী ফিকহের পূববর্তী কিতাবে পাওয়া যায় না। তারা মাসেহ করার পদ্ধতিই উল্লেখ করেন না। তারা শুধু এতটুকু বলেন যে, মাসেহ করা মুস্তাহাব।
হাদিসের ভাষ্যমতে গর্দান মাসেহ যেহেতু মাথার সঙ্গেই হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথার সামনে থেকে নিয়ে মাথার পিছন পর্যন্ত মাসেহ করেছেন। এতে গর্দানের উপরিভাগও মাসেহ হয়েছে।
গর্দান মাসেহ হয়েছে মাথার অনুগামীরূপে। তাই গর্দানকে আলাদা অঙ্গ ধরার সুযোগ নেই। সুতরাং মাথা মাসেহ এর কারণে হাতের তালুর পানিকে মুস্তামাল ও ব্যবহৃত বলা যায় না যে, তা দিয়ে গর্দান মাসেহ করা যাবে না।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।