ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি, যুক্তরাষ্ট্রে মামলা

Daily Ajker Sylhet

newsup

২৫ অক্টো ২০২৩, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ণ


ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি, যুক্তরাষ্ট্রে মামলা

নিউজ ডেস্ক: ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধনের অভিযোগে মেটার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে মামলা হয়েছে। আসক্তি সৃষ্টিকারী ফিচার ব্যবহার করে কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালতে এসব মামলা হয়। মামলায় কৌঁসুলি হিসেবে আছেন এসব অঙ্গরাজ্যের ৩৩ জন অ্যাটর্নি জেনারেল। এদের একজন নিউইয়র্কের লেটিশিয়া জেমস।

তিনি বলছেন, মেটাসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। এর জন্য কোম্পানিগুলোকে দায়ভার নিতে হবে।

অভিযোগে বলা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরাপত্তা দেওয়ার আইন ভঙ্গ করেছে মেটা। এই কোম্পানি ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডেটা সংগ্রহ করে শিশুদের ‘অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে।

মামলাকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে মেটার এক মুখপাত্র বলেন, কিশোর-কিশোরীদের জন্য অনলাইনে নিরাপদ ও ইতিবাচক অভিজ্ঞতা দিতে অ্যাটর্নি জেনারেলদের কাছে কোম্পানিটি প্রতিজ্ঞা দিয়েছে। কিশোর-কিশোরী ও তাদের পরিবারের সমর্থন করতে প্ল্যাটফর্মটিতে ৩০টিরও বেশি টুল নিয়ে আসা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পরিবার, তরুণ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে মেটা ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর এ বিষয় নিয়ে হাজার হাজার মামলা করেছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু কৌঁসুলি কোম্পানির কার্যক্রমের ওপর তদন্ত করে। সেই তদন্তে ফ্রান্সিস হাউগেন নামের এক তথ্য ফাঁসকারী সাক্ষ্যে বলেন, কোম্পানির পণ্যগুলো শিশুদের ক্ষতি করতে পারে। ইনস্টাগ্রাম তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

সে সময় মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গবেষক প্রতিতি রায়চৌধুরি বলেন, কিশোরদের জন্য ইনস্টাগ্রাম ক্ষতিকর বলে যে ধারণা আছে, তা বিভিন্ন গবেষণায় সঠিক নয় প্রমাণিত।

তবে এ রকম অনেক গবেষণা রয়েছে, যেখানে দেখানো হয়, বেশি সময় ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে।

লাইক, কমেন্ট ও বিভিন্ন ফিল্টার তরুণদের মধ্যে ‘বডি ডিসমরফিয়া’ তৈরি করছে বলে এসব মামলায় অভিযোগ তোলা হয়। বডি ডিসমরফিয়া হলো কোনো ব্যক্তির নিজের শরীর নিয়ে নেতিবাচক ভাবনা ও নিজের খুঁত খোঁজার প্রবণতা।

এসব মামলার অধিকাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা দায়ের করেছেন। মামলায় আরও বলা হয়, তরুণী ব্যবহারকারীদের আসক্তির সুযোগ নিয়ে মেটার নকশা ও কার্যক্রমগুলো তৈরি করা হয়। মেটার এসব ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র জরিমানার কথা বিবেচনা করছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।