নিউজ ডেস্ক: দুই বাংলার শীর্ষ অভিনেত্রী জয়া আহসান কদিন আগেই ঘরে তুলেছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ৫ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গে পর পর দুটি সিনেমা অর্ধাঙ্গিনী ও দশম অবতার পেয়েছে ব্যবসায়িক সফলতা। এদিকে চলচ্চিত্র নিয়ে আগামীকাল সোমবার থেকে টানা আট দিন কাটাবেন গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এত আনন্দের মাঝেও ভীষণ বিষণ্নতায় ডুবেছেন জয়া। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য জানিয়েছেন সমবেদনা।
আজ রোববার সকালে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য জয়া লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ। এ পর্যন্ত ১১ হাজার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে ৪ হাজারের বেশি।’
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের পাশে না দাঁড়াতে পারার কষ্ট জয়াকে কষ্ট দিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে।’
বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বানের পাশাপাশি, প্রশ্নও রেখেছেন জয়া। তিনি লিখেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’
গত দেড় মাসে ইসরায়েলি হামলায় ১২ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ বা অ্যাম্বুলেন্স কোনও কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিকে (আল শিফা) ‘ডেথ জোন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।