নিউজ ডেস্ক:বিএনপি ও তাদের সমমনারা ভোটে আসতে চাইলে সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
বিএনপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত নির্বাচনে আসেনি। এরপর যদি তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে নির্বাচনে আসবে বা আপনাদের জানায়, সে ক্ষেত্রে আর কোনো সুযোগ আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে বিধায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন মনে করে এই সময়সীমা বর্ধিত করণের আর কোনো সুযোগ নেই।
তাহলে বিএনপি ছাড়াই ভোট হচ্ছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা আপনারা বোঝেন।’
ইসি সচিব বলেন, ‘আপনারা আগে থেকেই অবগত রয়েছেন যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। ইতিমধ্যেই সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের অবহিত করা হচ্ছে যে এই সময়সীমা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এটি বর্ধিত করার কোনো সময় বা সুযোগ নেই। অর্থাৎ কোনো সময় বাড়ছে না।’
ইসি সচিব আরও বলেন, আজ সকালে বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান আইজিপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং অপরাহ্ণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়, দপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করেছেন। বিশেষ করে আইজিপি এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন। আইজিপি আপনাদের অবহিত করেছেন যে নির্বাচনের যে অনুকূল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে কমিশনকে অবহিত করেছেন। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রশাসনিক বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা, পরামর্শ আছে কি না, সে বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কমিশন তাঁর বক্তব্য শুনেছেন এবং কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেভাবে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, কিছু কিছু জায়গায় প্রার্থীদের যাদের কার্যক্রমে মনে হয়েছে যে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিগুলো অনেককে ব্যাখ্যা তলব করেছে এবং তারা তাদের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া রিটার্নিং অফিসারদের মাধ্যমে আচরণবিধি নিশ্চিত করণের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছেন।
নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে কতগুলো দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন—জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০টি আসনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা ১০ বা ১১টার দিকে জানতে পারব কোন আসনে কোন রাজনৈতিক দলের কোন কোন প্রার্থী জমা দিয়েছেন। তারপরে আসলে আমরা বলতে পারব কতগুলো রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এর আগে সত্যিকার অর্থে বলা সম্ভব নয়।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।