ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন সিন্ডিকেট চালানোয় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি যুবক গ্রেপ্তার - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:৫১, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন সিন্ডিকেট চালানোয় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি যুবক গ্রেপ্তার

newsup
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন সিন্ডিকেট চালানোয় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি যুবক গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক:

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন সিন্ডিকেট চালানোয় দায়ে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি এক যুবক। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার দুপুরে মালয়েশিয়ার জোহরের ট্যাম্পোই শহরতলি থেকে দুই কর্মী সহ এই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। দুই কর্মীর একজন বাংলাদেশি এবং অপরজন মালয়েশিয়ার নাগরিক।

গত কয়েক মাস ধরেই এই যুবক ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন সিন্ডিকেট পরিচালনার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের ফাঁদে ফেলে বিপুল মুনাফা কামিয়েছেন বলে জানায় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ।

মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম দ্য স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের কর্মকাণ্ডকে বৈধ রূপ দিতে ২৬ বছর বয়সী বাংলাদেশি এই যুবক একটি কোম্পানিও স্থাপন করেন। অভিবাসন সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান করা সেই কোম্পানিকে তিনি মালয়েশিয়ার কোম্পানি কমিশনে (এসএসএম) নিবন্ধিত করেছিলেন।

গতকাল বুধবার রাজধানীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কমপ্লেক্সে ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোহর ইমিগ্রেশনের পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির বলেন, অভিযানের সময় আটক করা হলে সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিজেকে একটি বেসরকারি কোম্পানির চেয়ারম্যান বলে দাবি করেন।

বাহারউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল যে, সন্দেহভাজন একটি জাল ওয়ার্ক পারমিট পুনর্নবীকরণ সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় সে এই বছরের শুরু থেকেই বিদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এসএসএম-এর তথ্য যাচাই করে জানা যায় যে, তার কোম্পানি মে মাসে নিবন্ধিত হয়েছিল এবং ধারণা করছি যে, নিবন্ধনের পেছনের কারণ হলো এতে করে বিদেশি কর্মীরা তার কাজকে বৈধ মনে করবে।’

বাহারউদ্দিন আরও বলেন, সন্দেহভাজনের প্রধান টার্গেট হলো সেই সব বিদেশি কর্মী, যারা তাদের ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন নবায়ন করতে সমস্যায় পড়েছেন। টার্গেট করা গোষ্ঠীর ঘরে ঘরে গিয়ে পাসপোর্ট খুঁজে সংগ্রহ করে প্রতি আবেদনের জন্য আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামের অধীনে মালয়েশিয়ার মুদ্রা সাড়ে ৬ হাজার রিঙ্গিত ফি নেওয়াই ছিল এই সিন্ডিকেটের কর্মপদ্ধতি।

গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন বিভাগ তিনটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, দুটি ইন্দোনেশিয়ার পাসপোর্ট, একটি ল্যাপটপ, পাসপোর্টের আবেদনের তথ্য সংবলিত একটি হার্ডডিস্ক, একটি মোবাইল ফোন এবং ২,০৫৮ টাকা জব্দ করেছে।

বাহারউদ্দিন তাহির বলেন, ‘আমি জনসাধারণকে, বিশেষ করে বিদেশি কর্মী এবং তাদের নিয়োগকর্তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ইমিগ্রেশন বিভাগ আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামের অধীনে অভিবাসীদের নিবন্ধন করতে আমাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষ বা এজেন্ট নিয়োগ করা হয়নি।’

News/R-3

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।