মাহফুজ আদনান :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশী কমিউনিটি নিয়ে আমি যা বলবো । বা লিখবো তার থেকে আমার থেকে আরো আগে যারা আসছেন । তারা ভালো বলতে পারবেন লিখতে, পারবেন । তবে গত ১০ বছরের আমেরিকায় অবসথান ও বিভিন্ন গুণীজনদের সাননিধ্যে থেকে ও সংবাদপত্রের কল্যাণে এবং ডিজিটাল মিডিয়ার বা ফেসবুকের কল্যাণে অনেক কিছু আঁচ করতে পেরেছি । সেখান থেকে যা জানি বা জেনেছি তা তুলে ধরার চেষ্টা করবো । আমি একজন নবীন প্রজন্মের লেখক, কলামিষট বা সংবাদকরমী হিসেবে বিগত কয়েক দশকে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত মানুষের সাথে চলাফেরা করার সুযোগ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তা আলা । নিজের কোমপানির গড়া সংবাদপত্র ও কয়েকটা সামাজিক সংগঠনকে শক্ত ভিত্তির উপরে দাঁড় করানোর জন্য নিজের সরকারি ও বেসরকারি জবের পাশাপাশি কাজ করেছি, দেখেছি আমেরিকার কমিউনিটির পথচলা । ২০১৪ সালে যখন আসি তখন শুরুর দিকে আমি ঢাকা ক্লাব বা গুলশান তেরেস নামে একটি পারটি হলে কাজ শুরু করি । ফুড সার্ভার হিসেবে । তখন কোন একদিন বাংলাদেশের সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদের রিসিপশন আয়োজন করে তার এলাকার সংগঠন কিশোরগঞ্জ সমিতি ইউএসএ । সেখানে রাষ্ট্রপতির টেবিল সার্ভিস আমি নিজে দিই । সেই প্রোগ্রামের আয়োজন ও সকলের বকতব্য শুনে বুঝলাম আমেরিকায় বাংলাদেশী কমিউনিটি ক্ষুদ্র কিছু নয় । এ এক বিশাল পরিবার । এরপরে এই পারটি হলে অনেক অনুষ্ঠান আয়োজনে আমি ছিলাম ও সার্ভিস দিই । তাই সকলের কার্যক্রম ও পথচলা আমাকে অণুপ্রাণিত করে । এরপরে ধারাবহিকভাবে আমি কাজ করি ডানকিন ডোনাট কফি শপ, আমেরিকান-ইতালিয়ান রেস্টুরেন্ট ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে । মাঝখানে ৬/৭ মাস কাজ করি সাপ্তাহিক রানারের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে । তা ঠিক ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত । এরমধ্যে পরিচয় ঘটে অনেক বাংলাদেশী, সিলেটী সহ বিভিন্ন জাতিগোষঠীর মানুষের সাথে । তাদের সকলের সাথে মিশে জেনে নিলাম এই আমেরিকায় বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন রাজ্যে সামাজিক অবস্থানের কথা । এরপরে পোস্টাল সার্ভিস মানে ফেডারেল জবে যুক্ত হয়ে ও নিউইয়রক রাজ্যের আওতায় পরিচালিত হোম কেয়ার ব্যাবসায় জড়িত হয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হলো । গত ২০১৪ থেকে বাংলানিউজইউএসডটকম নামে সংবাদপত্র ও ২০১৫ থেকে সার্ক টিভি পরিচালনা শুরু করি । সেই সাথে ফেব্রুয়ারি ২০১৪ থেকে অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত কাজ করি মিলেনিয়াম টিভি ইউএসএ এর বিভিন্ন বিভাগে । ২০১৪ থেকে প্রথম আলো, যুগান্তর, ঠিকানা, ডেইলি স্টার, বাংলাদেশ জার্নাল, ইনকিলাবসহ দেশের বিদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে লেখালেখির মাধ্যমে অনেকের সাথে পরিচয় হয় । দেখলাম জানালাম আমেরিকার মেইন স্ট্রীম তথা মুল ধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবদান অনেক । যেকোন ফান্ড রাইজীং সহ ভোটের ক্যামপেইন ও ভোট প্রদান এবং ভোটে প্রারথী হয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আমেরিকার মাটিতে একটি অনন্য নাম । সকল সেকটরে বাংলাদেশীদের অবসথান রয়েছে । প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, চিকিৎসা, বিনোদন ও মিডিয়া সহ এদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশীরা আল হামদু লিল্লাহ রয়েছেন অনন্য উঁচ্চতায় । এ অর্জন বিগত ৩০/৪০ বছরের পরিশ্রমের ফসল । ২য় জেনারেশন চললেও । ৩য় প্রজন্ম আসার পথে । এরপরেও এ দেশের সকল সেকটরে বাংলাদেশীরা তাদের মান মরযাদা বৃদ্ধি করে চলেছেন । তাই তো আমেরিকার বিভিন্ন শহরে শহরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাকতির নামে সড়কের নাম দেয়া হয়েছে । স্থানীয় সরকার তথা এ দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আল হামদু লিল্লাহ বাংলাদেশীদের অনেক মুল্যায়ন করেন । নিউইয়রক শহরের ২০/২৫ টি প্রিন্ট সংবাদপত্র সহ বেশ কয়েকটা অনলাইন গণমাধ্যম দেশের বিভিন্ন শহর থেকে বিভিন্ন ম্যাগাজিন প্রকাশনা বই মেলা সহ দেশের নানান কৃষ্টি কালচার তুলে ধরতে সাংস্কৃতিক আয়োজন আমেরিকায় বাংলাদেশীদের পরিচয় তুলে ধরেছে সগৌরবে । এ ধারা থাকবে । চলবে । এ কামনা আমার ও বর্তমান প্রজন্মের ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।