শিশুদের প্রস্রাবে সংক্রমণ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সন্ধ্যা ৭:০৬, ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

শিশুদের প্রস্রাবে সংক্রমণ

editorbd
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
শিশুদের প্রস্রাবে সংক্রমণ

ফিচার ডেস্ক: শিশুদের প্রস্রাবে সংক্রমণ সমস্যাটি খুব বেশি মাত্রায়
পাওয়া যায়। এমনকি নবজাতক বয়সেও এই সমস্যা হতে পারে। জন্মের
প্রথম বছরে মেয়েদের এই সমস্যা ছেলে শিশুদের দ্বিগুণ পরিমাণে পাওয়া
গেলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি ছেলেদের তুলনায় ১০ গুণ পর্যন্ত বেশি
হতে দেখা যায়। মূলত অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া এই সমস্যার জন্য দায়ী
হলেও ই কোলাই নামের জীবাণু সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ।
চিকিৎসার সুবিধার্থে আমরা প্রস্রাবে সংক্রমণকে দুই ভাগে ভাগ করি।
কিডনির মধ্যে সীমাবদ্ধ (পায়েলোনেফ্রাইটিস) এবং প্রস্রাবের থলিতে
(সিসটাইটিস) সংক্রমণ।
কিডনির মধ্যে সীমাবদ্ধ সংক্রমণে শিশুদের জ্বর, গা ম্যাজম্যাজ, পেটে,
পিঠে বা কোমরে ব্যথা, বমি ভাব ও বমি থাকতে পারে। নবজাতক বাচ্চাদের
ওজন ঠিকমতো না বাড়া, কম খেতে পারা, খিটখিটে থাকা এমনকি দীর্ঘ
মাত্রায় জন্ডিস থাকলেও প্রস্রাবে সংক্রমণ সন্দেহ করতে হয়।
পক্ষান্তরে প্রস্রাবে থলিতে সংক্রমণ হলে শিশুদের প্রস্রাব করতে গেলে
ব্যথা, প্রস্রাব আটকে রাখতে না পারা, বারবার, তীব্র চাপ নিয়ে বেগ
পাওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব এবং তলপেটে নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে।
এর পাশাপাশি অনেক শিশুর তেমন লক্ষণ ছাড়াও প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে
দেখা যায়। সংক্রমণ নির্ণয় করা এবং দায়ী জীবাণু শনাক্ত করা খুব জরুরি।
প্রস্রাবরত অবস্থায় মাঝামাঝি সময়ের প্রস্রাব ধরা উচিত। খতনা না করা
ছেলে শিশুদের শিশুর চামড়া পেছনে টেনে প্রস্রাব ধরতে হয়। তবে এর পরও
সন্দেহ থাকলে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে বা তলপেটে প্রস্রাবের থলিতে সুচ
দিয়ে প্রস্রাব নিতে হবে। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে রুটিন পরীক্ষার পাশাপাশি
কালচার পরীক্ষা করে দেখতে হবে দায়ী জীবাণু এবং উপযুক্ত
অ্যান্টিবায়োটিক কী হবে। কিছু ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি এবং কিডনির
বিভিন্ন স্ক্যান পরীক্ষা করা লাগতে পারে।

উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট সময় ধরে দেওয়া হয় প্রস্রাবে
সংক্রমণের চিকিৎসা। তবে যাদের বারবার এই সমস্যা হয় তাদের কোনো
শল্য চিকিৎসার উপযোগী সমস্যা আছে কিনা খুঁজে বের করতে হবে। বিশেষ
করে কিছু ‘ঝুঁকি’ থাকলে এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। যেমন–
মেয়ে শিশু, খতনা না করা ছেলে শিশু, ভুল টয়লেট ট্রেনিং, কোষ্ঠকাঠিন্য,
প্রস্রাবের রাস্তায় আকৃতিগত ত্রুটি (রাস্তায় বাধা, সরু নালি, ভুল জায়গায়
অবস্থান) সমস্যা থাকলে প্রস্রাবে সংক্রমণ বেশি হতে দেখা গেছে।
প্রস্রাবে সংক্রমণ প্রতিরোধে
নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
সফট ড্রিংকস, বোতলজাত জুস (এগুলোতে ক্ষতিকর কৃত্রিম রং,
প্রিজারভেটিভ থাকে), অতিরিক্ত লবণসমৃদ্ধ পানীয় এবং খাবার পরিহার
করতে হবে।
নিয়মিত স্বাভাবিক মলত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত পানি
পান, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে পরিমিত হাঁটাচলা, শারীরিক
ব্যায়াম, খেলাধুলা করতে হবে ও মলত্যাগের বেগ আটকে রাখা যাবে না
প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না। একটানা মনিটরের (টিভি, মোবাইল, গেমস)
সামনে বসে থাকা যাবে না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।