ভোক্তা পর্যায়ে সুফল নিশ্চিত করতে হবে

Daily Ajker Sylhet

editorbd

১০ ফেব্রু ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ণ


ভোক্তা পর্যায়ে সুফল নিশ্চিত করতে হবে

সম্পাদকীয়: আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাল, তেল, চিনি ও খেজুরের
শুল্ক-কর কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুক্রবার
যুগান্তরের খবরে প্রকাশ, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অপরিশোধিত চিনির আমদানি
শুল্ক টনপ্রতি দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। পরিশোধিত
চিনির টনপ্রতি শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম
অয়েল আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এদিকে
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত আমদানি পর্যায়ে সেদ্ধ ও
আতপ চাল আমদানিতে আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে
সংরক্ষণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী
৩০ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫
শতাংশ করা হয়েছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, আলোচ্য
পণ্যগুলোর নতুন দাম আগামী সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারণ করা হবে।

মাত্র এক মাস পরই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ উপলক্ষে সরকার বাজারে
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চায়। এ লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়াই স্বাভাবিক। তবে গত বছরও বাজার
সহনীয় রাখতে কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল সরকার; কিন্তু ব্যবসায়ীরা
উলটো সেসব পণ্যের দামই বাড়িয়েছিলেন। তাই শুল্ক কমানোর এ সিদ্ধান্ত ভোক্তা
পর্যায়ে সুফল বয়ে আনবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বস্তুত আসন্ন রোজায়
বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্যের জোগান নিশ্চিত করা এবং শুল্ক কমানোর সুফল
ভোক্তার কাছে পৌঁছানো হবে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অভিজ্ঞতা বলছে,
নিয়ন্ত্রক পর্যায়ে সঠিক নজরদারির অভাব থাকলে ভোক্তারা নন, বরং ব্যবসায়ীরাই
লাভবান হন। কাজেই শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে না পড়লে
বরাবরের মতো এর সুবিধা যাবে ব্যবসায়ীদের পকেটে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।