কালীগঞ্জে পূর্বপুরুষের মূল্যবান মোড়া শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৯:২১, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

কালীগঞ্জে পূর্বপুরুষের মূল্যবান মোড়া শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে

banglanewsus.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
কালীগঞ্জে পূর্বপুরুষের মূল্যবান মোড়া শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে

টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ :: আধুনিকতার মিশেলে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য। শহর হোক কিংবা গ্রাম বাড়ির ড্রইয়িং রুমে এখন শোভা পায় অত্যাধুনিক ফাইবার, প্াস্টিক বা সোফার গদি। যারফলে হারিয়ে যাচ্ছে পূর্বপুরুষের পেশা বাঁশ, বেতের মোড়ার কাজ। বেতের মোড়া ছিল খুবই কদর, কিন্তু এখন মোড়াচোখে মেলে না। বিলুপ্তি হতে চোলেছে ঐতিহ্যবাহী হাইলাইটস বাঁশ, বেতের মোড়ার বদলে আজকাল তার জায়গায় এসেছে ফাইবার বা প্লাস্টিক। দেখতে হুবহু বেতের মোড়ার মতো। শহরে, মেলায় নানা রকম বেতের কাজের মোড়া বিক্রি হয়। অনেক দামে সে সব বিক্রি হয় দেশে, বিদেশে। আর তারই ফলে মার খাচ্ছে বাংলার এক শতাব্দী প্রাচীন লোকশিল্প মোড়া। দু’দশক আগেও বাঙালি বাড়ির দাওয়ায় কিংবা শহুরে বহুতলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এক আধখানা মোড়ার দেখা মিলত। সে সব ছিল প্রয়োজনের সামগ্রী। আরাম কেদারা বা নরম গদিওয়ালা সোফার পাশে একখানা মোড়া জায়গা করে নিত নিজের গুণে। বাঁশ, বেতের মোড়া। আজকাল তার জায়গায় এসেছে ফাইবার বা প্লাস্টিক। দেখতে হুবহু বেতের মোড়ার মতো। কিন্তু উপকরণ বাঁশের নয়। ফলে তা নোংরা হয় কম, চলে বেশিদিন।আর তারই ফলে মার খাচ্ছে বাংলার এক শতাব্দী প্রাচীন লোকশিল্প-মোড়া। দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রামের বাদ্যকর মোড়ায় এখনও অবশ্য মোড়া তৈরি করেন প্রায় ৫০ ঘর শিল্পী। বাপ-ঠাকুর্দার পেশাকে আকড়ে ধরেই চলছে তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। যদিও বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে পারিবারিক পেশাকে টিঁকিয়ে রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন তাঁরা। তার উপর ক্রমশ কমছে চাহিদা। গ্রামা ঞ্চলে যাও বা সামান্য চাহিদা আছে কিন্তু তাতে উপযুক্ত দাম পাওয়া যায় না। শহরে আজকাল হাতের কাজের কদর বেড়েছে। কিন্তু সে সব দামি জিনিস। জানালেন বাদ্যকর বাড়ির বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীরা। মুক্ত বাদ্যকর বলেন, ‘একে তো কাঁচামালের দাম বাড়ছে। তার উপর ক্রেতারাও বেশি দামে জিনিস কিনতে চান না। তাঁরা সস্তায় প্লাস্টিকের মোড়া চেয়ার পাচ্ছেন। সে সব জিনিস টেঁকেও বছরের পর বছর। এসব কেন কিনবেন! একসময় মোড়া এতই ঔতিহ্য ছিল ও নতুন কোন সেহমান আসলেই তারা এই নতুন মোড়ায় বসতে দিত। মেয়েদের বিয়ের সময় বাবার বাড়ি থেকে মেয়ের সাখে মোড়া বেধে দেওয়া হয়। এখন এসব ঐতিহ্য বিলিন হয়ে গেছে। কালীগঞ্জ ব্সাটামিনালে মাঝে মধ্যে মাঝে মধ্যে নতুনদের মোড়া হাতে নিয়ে বিক্রি করতে দেখা মেলে। কিন্তু সেব মোড়া তেমন উন্নত মানের না, যে কারণে এসব মোড়া কেত্রারা নিতে চায় না। যারা বিক্রি করছে তাদের একজন কলেন, বেচে থাকার তাগিদে সংসার চালানোর জন্য তারা এ পেশা টা ধোরে রেখেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ৫/৭ টি করে মোড়া বিক্রি করতে পারে। প্রতিটি মোড়া বিক্রি করছে তাতে রঅভ হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অবশ্য বিক্রেতারা বলছেন মোড়া কদর এখন তেমন নেই ফলে ক্রেতা ও কম হয়েছে। বিশেষ করে প্লাষ্টিকের বিভিন্ন ধরনের মালামাল মানুষের চোখে ধরারমত এ কারণে ক্রেতারা সে দিকেবেশি করে ঝুকে পড়ছে। ক্রমান্বয়ে মোড়ার চাহিদা বিলিন হয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।