কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সন্ধ্যা ৬:১৯, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

editorbd
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

সম্পাদকীয়: দেশ থেকে কতভাবে অর্থ পাচার হয় তা বহুল আলোচিত। অর্থ পাচার রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কেন কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। জানা যায়, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়ে থাকে। হুন্ডির মাধ্যমেও বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত দুবছরে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে অর্থ পাচার। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ব্যাংক ঋণে জালিয়াতির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এ সময় বিএফআইইউর অনুসন্ধানে ১ হাজার ১১২টি
সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়েছে। প্রতিবেদনে ব্যাংক ঋণে ছয় ধরনের জালিয়াতি শনাক্ত করা হয়েছে। ভুয়া নথি ও ভুয়া জামানতের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের তথ্যও উঠে এসেছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির কারণে ব্যাংক খাতে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এ ধরনের খেলাপিরা হঠাৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এসব তথ্যও বিএফআইইউর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থ পাচারের বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশলও শনাক্ত করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি। তারা যেসব তথ্য
উদ্ঘাটন করেছে, সেসব তথ্যের আলোকে সরকারের উচিত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তা না হলে এ ধরনের অপরাধের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। জানা যায়, আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং হয়েছে ১৪ হাজারের বেশি। আগের অর্থবছরে এ ধরনের রিপোর্ট হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে আরও কম। এছাড়া নগদ লেনদেন রিপোর্টিংও (সিটিআর) অনেক বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সিটিআর হয়েছে ২২ হাজার ৮৫৯টি; আগের অর্থবছরে যা ছিল ২১ হাজার ১১৩টি। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে মোট অর্থ পাচারের বেশিরভাগ সংঘটিত হয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে। কাজেই এ প্রক্রিয়ায় যাতে অর্থ পাচার হতে না পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। আমদানি-রপ্তানির আড়ালে কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার করে কিনা, তা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচারে জড়িত, সেগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।