সুরা ইয়াসিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সুরা। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেছেন, প্রত্যেক বস্তুরই একটা হৃদয় থাকে আর কোরআনের হৃদয় হলো সুরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন একবার পড়বে, মহান আলস্নাহ তাকে দশবার পুরো কোরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন। তিরমিজি হাদিসে সুরা ইয়াছিনকে কোরআনের রম্নহ বা হৃৎপি- বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি আলস্নাহ ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, তার জন্য রয়েছে ক্ষমা। আর সুরা ইয়াসিন একবার পাঠ করলে দশবার কোরআন খতম করার নেকি পাওয়া যায় এবং পাঠকের সব গুনাহ মাফ হয়। তিরমিজি
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আলস্নাহতায়ালা তার সারা দিনের সব প্রয়োজন পূর্ণ করবেন এবং সব বিপদাপদ থেকে তাকে রক্ষা করবেন। হাদিসে আরও বলা হয়েছে, রাতে সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে নিষ্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে ওঠা যায় এবং আগের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। মুসনাদে আহমদ
এ ছাড়া যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, তার সব উদ্দেশ্য পূরণ হবে। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন বেশি বেশি পড়বে, কিয়ামতের দিন এ সুরাই তার জন্য আলস্নাহর দরবারে সুপারিশ করবে। তাফসিরে রম্নহুল বয়ান
হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন, মৃতু্যপথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃতু্য যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। হজরত আবদুলস্নাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তিও রিজিকে বরকত লাভ হয়। ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-শান্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে। মাজহারি
অন্য এক হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে ইয়াসার (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুলস্নাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যি ক্ত আলস্নাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করবে, আলস্নাহতায়ালা তার বিগত জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুলস্নাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আলস্নাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে রাতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করবে, আলস্নাহ তার ওই রাতের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ দারেমি
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।