হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধিঃগত পহেলা মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা
সাতটায় হিলসাইড এভিনিউ জ্যামাইকা ,নিউইয়র্ক এর মতিন রেষ্টরেনেট এ সিরাজুল আলম খান সৃতি পরিষদের এক সভা সংগঠনের আহবায়ক ড. মহসিন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুস্টিত হয়। খবর বাপসনিঊজ।সভার শুরুতে স্বাধীনতার মাস মহান মার্চ ,৫২”এর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ সহ বিভিন্ন সৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন সকলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মুজিবুর রহমান ,লিগেল কন্সালটেন্ট এডভোকেট মুজিবুর রহমান ,,ডা: মুজিবুল হক,মোহাম্মদ মতিউর রহমান ,সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ,,হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ,সরোওয়ার হোসেন ,সুভাস মজুমদার ,ওলিউর রহমান সেলিম প্রমূখ ।সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন ,১৯ ৬২ সালের ধারা বাহিক আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল ই মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এই দীর্ঘ সংগ্রাম আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন বংগবন্ধু। আর মূল সিপাহ সালার ছিলেন সিরাজুল আলম খান ,,আব্দুর রাজ্জাক ,কাজী আরেফ আহমদ ,তোফায়েল আহমেদ , আসম আব্দুর রব ,শাজাহান সিরাজ ,নূরে আলম সিদ্দিকী সহ অন্যান্য নেতাদের বাদ দিলে স্বাধীনতার ইতিহাস অসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সিরাজুল আলম খানের রাজনৈতিক জীবন বাংলাদেশের সাথে অংগা অংগীভাবে জড়িত। স্বাধীনতার পর কৃষক ,,শ্রমিকের মুক্তির লক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার চিন্তা ধারা আজ আলোচনার দাবি রাখে। যদি সেই সময় সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দেশ গড়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়তো তা হলে আজ তেপান্ন বছর গনতন্ত্র ,,অর্থনীতির মুক্তির আন্দোলন এখনো করতে হতো না। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে সিরাজুল আলম খানের চিন্তাধারা নিয়ে প্রকাশিত পুস্তিকা সংরক্ষন ও গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরি। আজ ইতিহাস বিকৃতি যুগে১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন ডাকসুর ভি পি ,আ ,স ,ম আব্দুর রব। এবং ৩রা মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাট করেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। ৭ই মার্চের বংগবন্ধুর ভাষন এই মহাসত্য ইতিহাসের অংশ। একটি আরেকটির সাথে অংগাংগী ভাবে যুক্ত। দলীয় সীমাবদ্ধতার বাইরে এসে রাস্ট্রের পক্ষ থেকে এই দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা উচিৎ। সভায় আগামী নয়ই জুন রোববার সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে সবাইকে নৈশ ভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।