রাজউক কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সন্ধ্যা ৭:৩৪, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

রাজউক কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না

editorbd
প্রকাশিত মার্চ ৪, ২০২৪
রাজউক কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না

সম্পাদকীয়: সাধারণত ভয়াবহ কোনো দুর্ঘটনার পরই রাজধানীর বহু ভবনের নকশার ত্রুটিবিচ্যুতি ও ঝুঁকিপূর্ণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। জানা যায়, রাজধানীর অনুমোদিত ভবনগুলোর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ নকশায় বিচ্যুতি করা হয়েছে। কোনো
ভবনের চারপাশের খালি জায়গা না ছেড়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আবার কোথাও ফায়ার এক্সিট রাখা হয়নি। কেউবা অনুমোদনের বাইরে নিজেদের ইচ্ছামতো ভবন ব্যবহার করছেন। অনুমোদনের চেয়ে বেশি তলা নির্মাণের ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো, বছরের পর বছর এসব বিচ্যুতি হলেও তা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কার্যকর উদ্যোগ নেই। বস্তুত এসব কারণে রাজধানীর বহু ভবন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় কিছুদিন পরপর প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। কোনো ভবনের নকশা অনুমোদনের পর এটি যথাযথ নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হচ্ছে কি না, তা দেখভালের দায়িত্বও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। এ সংস্থার মাঠ পর্যায়ের পরিদর্শকদের দায়িত্ব ভবন নির্মাণকাজ সরেজমিন পরিদর্শন করে নকশা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করা। আইনে এমনটি থাকলেও রাজউক তা বাস্তবায়ন করছে কি না, এটি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে যারা ভবন নির্মাণ করে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হলে অন্যরাও সতর্ক থাকত। প্রতিবছর গড়ে রাজউক ৫ হাজার ভবন মালিককে ভবনের ত্রুটি সংশোধনে নোটিশ দিয়ে থাকে। সর্বশেষ গত বছর ১ হাজার ৮৯০টি ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে। চলতি বছরও নকশার বিচ্যুতি করা ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন হলো, নকশার বিচ্যুতি করা ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও মানুষ কেন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ ও ভবনের বিপজ্জনক ব্যবহারে এতটা আগ্রহী। রাজউকের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির বিষয়টি বহুল আলোচিত। অভিযোগ রয়েছে, এ সংস্থায় অবৈধ আয়ের উৎস আছে জেনেই কেউ কেউ রাজউকের চাকরি বেছে নেন। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এদিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করি আমরা। তা না হলে ‘গ্রিনকজি কটেজ’ ভবনের ঘটনার মতো ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি হতে পারে। রাজধানীমুখী মানুষের স্রোত কমাতেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে
হবে। তা না হলে রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থার সফলভাবে দায়িত্ব পালনে নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।