নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের দরকষাকষির পর অবশেষে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ হলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। সোমবার পাশ হওয়া এ প্রস্তাবটিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির ব্যাপারটিরও উল্লেখ রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সোমবার গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা অবিলম্বে ইসরাইলের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে প্রস্তুত রয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু ইসরাইল তা যেন মেনে চলে, সেটি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন কীভাবে কাজ করবে তা এখন গুরুত্বপূর্ণ।
গত বছরের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর বেশ কয়েকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে নিরাপত্তা পরিষদ এই প্রথম যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালো।
গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ তার এবং তার মিত্র ইসরাইলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সোমবার ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা হালনাগাদ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৩৩৩ জন। আরও কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রস্তাব পাসের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর আগে জিম্মি মুক্তির সাথে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি যুক্ত রাখা হলেও এবার যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সেই অবস্থান পরিত্যাগ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, দুঃখের বিষয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন প্রস্তাবনায় ভেটো দেয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এটি হামাসকে ধারণা দিয়েছে যে, তারা বন্দীদের মুক্ত না করে যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ব্যবহার করতে পারে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, গাজায় এখনও যেহেতু জিম্মিরা আটকে রয়েছে, তাই ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে না।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।