সোলেমান হোসেন চুন্নু – সিলেট ব্যুরো চীফ: সিলেট মহানগর ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাটারি রিকশা থেকে ব্যাটারি-মটর খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং আটককৃত ব্যাটারি রিকশা মটর-ব্যাটারি সহ ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে ৩ এপ্রিল বুধবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
রিকশা-ব্যাটারি রিকশা -ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি প্রণব জ্যোতি পাল এর সভাপতিত্বে অবস্হান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা আহ্বায়ক, রিকশা -ব্যাটারি রিকশা -ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার উপদেষ্টা আবু জাফর,সংগ্রাম পরিষদ মহানগর শাখার সহ-সভাপতি শহিদ মিয়া, ইয়াছিন আহমদ, মোহসিন আহমদ, এরশাদ মিয়া, সংগ্রাম পরিষদের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী, হারুন মিয়া,আজিবুর রহমান,আকবর হোসেন, রায়হান নূর, মিন্টু যাদব, জুয়েল আহমদ,অভি ইসলাম,দিনাজ আহমদ প্রমূখ।
অবস্থান কর্মসূচির শুরুতে গত ৩১মার্চ কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।অবস্হান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট নগরীর ২০হাজার ব্যাটারি চালিত যানবাহন শ্রমিক এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ১লক্ষ মানুষের কাছে আসন্ন ঈদ বিবর্ণ। কারণ দীর্ঘ দেড় মাস থেকে মহানগর ট্রাফিক কতৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাটারি রিকশা থেকে মটর-ব্যাটারি খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে নগরীর প্রায় ২০হাজার ব্যাটারি চালিত যানবাহন শ্রমিকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে এবং আটককৃত ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকরা হাজার হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজটের জন্য কোনভাবেই এককভাবে দায়ী নয় ব্যাটারি চালিত যানবাহন।কারণ একটি জরিপে দেখা গিয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধানতম বাহন মটর সাইকেল ও ট্রাক। তাছাড়া নগরীর যানজট হিসেবে চিহ্নিত পয়েন্ট এমনিতেই এড়িয়ে চলেন ব্যাটারি চালিত যানবাহন শ্রমিকরা।বক্তারা বলেন, নগরীর সাধারণ মানুষের স্বল্প ভাড়ার পরিবহন হিসেবে পরিবেশ বান্ধব এবাহনগুলো যাত্রি সেবা দিয়ে থাকে।
বক্তারা অবিলম্বে প্রস্তাবিত “থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় মটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০২১” চুড়ান্ত করে বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান,ব্যাটারি চালিত যানবাহনের হয়রানি -উচ্ছেদ বন্ধ ও রেকার বিল পূর্বের মতো ৫শত টাকা নির্ধারণ করার আহ্বান জানান।
অবস্থান কর্মসূচির শুরুতে গত ৩১মার্চ কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফলে অবস্হান কর্মসূচি সীমিত পরিসরে করার ঘোষণা করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতার আহ্বান জানান হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ সিলেট মহানগর ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাটারি রিকশা থেকে ব্যাটারি-মটর খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং আটককৃত ব্যাটারি রিকশা মটর-ব্যাটারি সহ ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে আগামী সোমবার পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে জানান।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।