ডেস্ক রিপোর্ট: সিটি অব ক্যালগেরির প্রতি ১০ জন অফিস কর্মীর মধ্যে একজন গত সপ্তাহে ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। মিউনিসিপালিটির সরকারি খাতের সর্ববৃহৎ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট এই কথা বলেছেন। সিটির প্রশাসনিক ও কারগিরি খাতের প্রায় ৫ হাজার কর্মীর প্রতিনিধিত্বকারী কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পাবলিক এমপ্লয়িজ (সিইউপিই) লোকাল ৩৮ গত ২২ ও ২৩ মে ধর্মটের ওপর ভোটাভুটির আয়োজন করে। নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার এই ভোটাভুটির আয়োজন করে তারা। ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া প্রায় ৪ হাজার ১৪০ জন ইউনিয়ন সদস্যের মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ জন বা ৮৯ শতাংশ আরও পদক্ষেপের পক্ষে ভোট দেন। সিইউপিই লোকাল ৩৮ এর প্রেসিডেন্ট ডি’আরকি ল্যানোভাজ ধর্মঘটের পক্ষে এই ভোটকে বড় ধরনের ঐক্য বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, নিয়োগদাতাদের প্রস্তাব যে ইউনিয়নের সদস্যদের প্রত্যাশার অনেক নিচে সে ব্যাপারে এটা একটি স্পষ্ট বার্তা। এটা নিশ্চিতভাবেই আমাদের অবস্থান ও নিয়োগদাতাদের কাছে দেওয়া আমাদের প্রস্তাব থেকে অনেক দূরে। ২০২৩ সালের শেষে সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে সিইউপিই লোকাল ৩৮ সিটির সঙ্গে নতুন চুক্তির জন্য দর-কষাকষি চালিয়ে আসছে। ল্যানোভাজ বলেন, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ দেওয়া সত্ত্বেও এপ্রিলের মধ্যে দুটি পক্ষ সমাধানের আসতে ব্যর্থ হয়েছে। সিইউপিই সদস্যদের জন্য আগামী তিন বছরে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে এ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ৩ শতাংশ। এর বিপরীতে সিটি কর্তৃপক্ষ আগামী তিন বছরে ৮ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি, ক্যালগেরির আঞ্চলিক অর্থনীতির উন্নতি অথবা সাম্প্রতিক পরিচালন উদ্বৃত্ত এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি বলে যুক্তি তুলে ধরেছেন ল্যানোভাজ। সিটির একজন মুখপাত্র ২১ মে বলেন, ধর্মঘটের ওপর সিইউপিই লোকাল ৩৮-এর ভোটাভুটির মিউনিসিপালিটি হতাশ। তবে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। ভবিষ্যৎ দর-কষাকষিতে আমরা একটি ন্যায্য ও যৌক্তিক চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।