ইউক্রেনের প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমানটি ভ‚পাতিত করলেই ১.৬৮ লাখ ডলার পুরস্কার

Daily Ajker Sylhet

editorbd

০৯ জুন ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ণ


ইউক্রেনের প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমানটি ভ‚পাতিত করলেই ১.৬৮ লাখ ডলার পুরস্কার

ডেস্ক রিপোর্ট: পশ্চিম থেকে অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাবার দাবি কিয়েভের হ সম্পদ পেতে পশ্চিমারা রাশিয়াকে পরাজিত করতে চায় -হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী হ ‘ইউক্রেন এখন সম্পূর্ণ পশ্চিমের পৃষ্ঠপোষকতায় শাসিত’রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুদ্ধবিমানটির উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও বেলজিয়াম এ ফাইটার জেট দিচ্ছে কিয়েভকে। এমতাবস্থায়, ইউক্রেনের প্রথম এফ-১৬টি ভ‚পাতিত করার জন্য ১ লাখ ৬৮ হাজার মার্কিন ডলার বা দেড় কোটি রুবল বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার একটি কোম্পানি। রাশিয়ার সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরাম সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন ফোরেস নামক কোম্পানিটির মহাপরিচালক সের্গেই শমিতেভ। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনকে এফ-১৬ দেওয়া হলে আমরা সেগুলো ধ্বংস করার জন্য একটি পুরস্কার ঘোষণা করেছি’। এর আগে কোম্পানিটি পশ্চিমাদের দেওয়া ট্যাংক ধ্বংসের জন্য নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। শমিতেভ জানান, এরমধ্যেই যেসব রুশ সেনা এসব ট্যাংক ধ্বংস করেছে, তাদের কয়েকজনকে পুরস্কারের অর্থ দেওয়াও হয়েছে। রাশিয়ার উরাল অঞ্চলে অবস্থিত কোম্পানিটি দেশটির তেল শিল্পের জন্য প্রোপেন্ট তৈরি করে থাকে। খনিজ তেল উত্তোলনের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। পশ্চিম থেকে অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাবার দাবি কিয়েভের : কিয়েভ অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছে। একথা বলেছেন ২১ মে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনেস্কি। তিনি প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে অংশীদারদের সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছি এবং এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে কিছু শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে, অন্যগুলি – পতনের কাছাকাছি’।বøæমবার্গ নিউজ এজেন্সি শনিবার সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছে যে, জার্মানি ইউক্রেনে তার চতুর্থ প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর সম্ভাবনা পরীক্ষা করছে, তবে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। এছাড়াও, রয়টার্স প্রায় এক সপ্তাহ আগে লিখেছিল যে, ইতালি সম্ভবত ইউক্রেনে তার দ্বিতীয় এসএএমপি/টি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাবে, যা বর্তমানে কুয়েতে মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে, কিয়েভ সৈন্যদের জন্য পশ্চিমের সামরিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ কেবলমাত্র সংঘাতকে টেনে আনবে, কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি উল্টাতে পারবে না। সম্পদ পেতে পশ্চিমারা রাশিয়াকে পরাজিত করতে চায় -হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী : হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এইচআইআর টিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জাতীয় সম্পদে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য সামরিক পরাজয় ঘটাতে চায়, যেমনটি তারা ১৯৯০ এর দশকে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল। ‘পশ্চিমা নেতারা, যারা যুদ্ধের পথে রয়েছে, তারা রাশিয়াকে সামরিকভাবে পরাজিত করতে চায়। তাদের পরিকল্পনাটি সহজ, কারণ এটি অর্থের জন্য, যা তাদের প্রভাব এবং ক্ষমতা দেয়’, তিনি বলেন, কেন পশ্চিমারা এ বিষয়ে সংকল্পবদ্ধ ছিল? ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক বিজয়। অরবান ১৯৯০ এর দশকের সময়কালের কথা স্মরণ করেন, যখন ‘ইউরোপীয়রা রাশিয়ায় স্বাগত জানায় এবং রাশিয়ার অর্থনীতিতে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল, কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়নি’। তার মতে, পশ্চিমারা সেই সময়কালে রাশিয়াকে শোষণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ‘রাশিয়ানরা অবশেষে সমস্ত বিষয় তাদের নিজের হাতে নিয়েছিল এবং তারা যেভাবে উপযুক্ত মনে করেছিল সেভাবে সবকিছু রূপান্তরিত করেছিল’।অরবান ব্যাখ্যা করেছেন, অনেক পশ্চিমা স্টেকহোল্ডার এ সময়ে নস্টালজিক, ‘প্রাচ্যের মহান পেরেস্ট্রোইকা’ সম্পর্কে স্বপ্ন দেখছেন এবং আশা করছেন যে, ইউক্রেনের সংঘাত তাদের এ বিষয়ে সুযোগ দেবে। তিনি বলেন যে, বিভিন্ন ‘অস্ত্র বিক্রেতা, ঋণদাতা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ জুয়াড়ি’ ইতোমধ্যেই দ্ব›েদ্ব লাভের চেষ্টা করছে। ইউক্রেন এখন সম্পূর্ণ পশ্চিমের পৃষ্ঠপোষকতায় শাসিত -রাশিয়ান নিরাপত্তা কর্মকর্তা : রাশিয়ান নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, এ মুহূর্তে ইউক্রেন সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত, শাসিত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্রদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের মন্তব্যে মেদভেদেভ বলেছেন, ‘ইউক্রেন? ইউক্রেন কী? বর্তমান ইউক্রেন হল একধরনের আধিপত্য, যা সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো দেশগুলো দ্বারা শাসিত। তারা এটিকে টিকিয়ে রেখেছে’। জার্মান চ্যান্সেলর মন্তব্য করেছিলেন যে, ইউক্রেন ‘শক্তিশালী এবং তার নতজানু হতে পারে না’।তিনি আরো বলেন যে, স্কোলজকে ‘আসন্ন বিজয় সম্পর্কে তার মিথ্যাচারের জন’ ‘ইউক্রেনীয়দের ধ্বংসের জন্য উৎসর্গ করার জন্য’ এবং ‘নাৎসিবাদের পুনরুজ্জীবন’-এর জন্য ইউক্রেনীয়দের সামনে অনুতপ্ত হওয়া উচিত।

সূত্র : তাস।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।