ডেস্ক রিপোর্ট: ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সংসদ নির্বাচনে ম্যারিনের দলের কাছে হেরে গিয়ে ফরাসি সংসদই ভেঙে দিলেন ম্যাক্রোঁ। সংসদ ভেঙে দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ জুন নতুন করে ফরাসি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ম্যাক্রঁ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুন প্রথম দফায় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী দল ম্যারিন লঁ পঁ-র ন্যাশনাল ব়্যালির কাছে হেরে গিয়ে সবাইকে হতবাক করে দিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ম্যারিনের দলের কাছে হেরে গিয়ে ফরাসি সংসদই ভেঙে দিলেন ম্যাক্রোঁ। সংসদ ভেঙে দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ জুন নতুন করে ফরাসি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ম্যাক্রঁ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুন প্রথম দফায় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় দফার ভোট হবে আগামী ৭ জুলাই। উল্লেখ্য, সদ্য হয়ে যাওয়া ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনের খারাপ ফল করে ম্যাক্রোঁর দল। সেই নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী দলগুলি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই আবহে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন ম্যাক্রোঁ। প্রসঙ্গত, হঠাৎ এই ধরনের সংসদীয় নির্বাচনকে স্ন্যাপ লেজিসলেটিভ ইলেকশন বলা হয়। ম্যাক্রোঁ এই স্ন্যাপ ইলেকশন অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে বলেন, ‘যারা ইউরোপের উন্নয়ন করতে চায়, সেই সমস্ত দলের জন্য এটা মোটেও ভাল ফলাফল নয়। ডানপন্থী দলগুলি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমি পদত্যাগও দিতে পারছি না। আমি তাই জনগণের কাছেই নতুন করে আইনপ্রণেতাদের বেছে নেওয়ার অধিকার দিতে চাই। তাই সংসদ ভেঙে দিচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী। তাই এই পদক্ষেপ করতে পেরেছি। আপনাদের উপরে আমার বিশ্বাস রয়েছে। ফ্রান্সের জনগণ নিজের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সেরাটাই বেছে নেবেন।’ এদিকে এই নির্বাচনের পর পদ ছাড়ার ঘোষণা করেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার দ্য ক্রোঁ। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি এই ঘোষণা করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট এবং দেশের নির্বাচনে বাজে ফল করায় আলেক্সান্ডার দ্য ক্রোঁ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ঘোষণা করেন। মূলত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের ভোটাভুটি হয়েছিল ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়ামসহ বেশ কয়েকটি সদস্য দেশে। ফলাফল আসতে শুরু করলে দেখা যায়, নির্বাচনে ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশেই এগিয়ে রয়েছে ডানপন্থি দলগুলো। মধ্যপন্থি, উদার ও গ্রিন পার্টিগুলো সবাই মিলে ৭২০ আসনের এই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে। কিন্তু ফ্রান্সে ডানপন্থীদের কাছে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে ম্যাক্রোঁর দল।
সুত্র: বাংলা সংলাপ
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।