ঝড়ো সেঞ্চুরিতে অভিষেকের রেকর্ড, উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে
০৭ জুলা ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট: অভিষেক ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি অভিষেক শর্মা, আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঝড়ো সেঞ্চুরিতে নাম লিখলেন রেকর্ড বইয়ে। সাথে রুতুরাজ গায়কোয়ড় ও রিংকু সিংয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল ভারত। হারাতে স্পোর্টস ক্লাবে রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঠিক ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে সফরকারীরা। ২৩৫ রানের কঠিন লক্ষ্যে ৮ বল বাকি থাকতে ১৩৪ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনল ভারত। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের ১১৫ রান তাড়া করতে পারেনি টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। হেরে যায় ১৩ রানে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ অভিষেক এবার খেলেছেন ৪৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস। ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন এই ২৩ বছর বয়সীর। দুইবার জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসেই শতরানের ইনিংসটি সাজান ৭টি চার ও ৮ ছক্কায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো ভারতীয়র প্রথম শতকও এটি।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন অভিষেক। এই বছর মার্চে তার নাম জড়িয়ে গিয়েছিল সুরাতের তরুণী মডেল তানিয়া সিংহের মৃত্যুর সঙ্গে। অভিষেককে ডেকে জেরা করে পুলিশ। তানিয়া মৃত্যুর আগে কথা বলেছিলেন অভিষেকের সঙ্গে। সেই ঘটনা ভারতীয় ক্রিকেটারের জীবনে একটা চাপ তৈরি করেছিল। ২৩ বছরের অভিষেক যদিও খেলায় সেটার ছাপ পড়তে দেননি। এ বারের আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ৪৮৪ রান করেন। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৪.২২। আইপিএলে ৪২টি ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। ভারতের জার্সিতেও তাকে সেই ফর্মে দেখা গেল। অষ্টম ওভারেই ফিরতে পারতেন অভিষেক। লুক জঙ্গুয়ের বলে ক্যাচ মিস করেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। পরে ১৩তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলেও আউট হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ক্যাচ ছাড়েন লং অফে থাকা ফিল্ডার। সেটা পরে চার হয়ে যায়। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করার পরের বলেই শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিষেক।
এছাড়া রুতুরাজ ৪৭ বলে ১১টি চার ও ১ ছক্কায় ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ২২ বলে ২টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৪৮ রান করেন রিংকু। এই জুটি থেকে স্রেফ ৩৬ বলে আসে ৮৭ রান। দ্বিতীয় ওভারে শুবমান গিলকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে অভিষেক-রুতুরাজের জুটি ছিল ৭৬ বলে ১৩৭ রানের। ভারত তোলে ২ উইকেটে ২৩৪ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেকোনো দলের হিসেবে যা সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার করা ২ উইকেটে ২২৯। জবাবে প্রথম ওভারে ইনোসেন্ট কাইয়াকে বোল্ড করে দেন মুকেশ কুমার। নিজের পরের ওভারে বোল্ড করে দেন এসেই ঝড় তোলা ব্রায়ান বেনেটকেও (৯ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৬)। এরপর নিয়মিতভাবে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
বেনেট আউট হওয়ার পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আবেশ খান। এক প্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার ওয়েসলি মাদেভেরে। ১৭তম ওভারে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৩৯ বলে ৪৩ রান করে রবি বিষ্ণইয়ের বলে বোল্ড হয়ে। শেষ দিকে অপেক্ষা বাড়ান জঙ্গুয়ে। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেন ২৬ বলে ৩৩ রান। ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার আবেশ খান। ৩৭ রানে তিনটি নেন মুকেশ। ৪ ওভারে ১১ রানে ২টি শিকার ধরেন বিষ্ণই। অভিষিক্ত সাই সুদর্শন ব্যাটে-বলে অবদান রাখান সুযোগ পাননি। এই মাঠেই আগামী বুধবার হবে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।
সুত্র: দৈনিক ইনকিলাব