পাহাড় ও টিলা বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার পাইকারী হাট গুলোতে মৌসুমি ফলের জমজমাট ব্যবসা চলছে। চাষি ও বাগান মালিকরা জানান, প্রচন্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টি থাকলেও এবছর মৌসুমি ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
চাহিদা বেশী থাকায় বেছাকেনা ভাল হচ্ছে। তুলনামুলকভাবে এবছর মৌসুমি ফলের বাজার অনেকটা সাশ্রয়ী। ফলে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই খুশী। জেলার ছোট বড় সব বাজারেই মৌসুমি ফলের হাট। প্রতিদিন ভোরে চাষি ও বাগান মালিকরা গাড়ী বোঝাই করে ফল নিয়ে আসেন স্থানীয় বাজার গুলোতে। সব চয়ে বেশী মৌসুমি ফল বিক্রয় হয় জেলার কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মনবাজারে। প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার এই ২ দিন মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের উভয় পার্শ্বে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মৌসুমি ফলে জমে উঠে এই হাট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেছাকেনা।
বাজার জুড়ে পশরা সাজানো থাকে আম, কাঁঠাল, আনারস, কমলািলেবু, সাতকরা, পাকা পেপে, পেয়ারা, লটকন, কামরাঙ্গা, কাঁচা তাল, নারিকেল, ডাব, আতাফল, কলা, কালোজাম, গোলাপজাম, জামরুল, বেল, আঁখ, লেবু, লুকলুকি, আমড়া, চালতা, জাম্বুরা সহ নানান ধরনের ফল। তাছাড়া হাট বসে এই উপজেলার রবির বাজার, ভাটেরা বাজার, জুড়ী উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজার, বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর বাজার, কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার, শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তরবাজার, রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার ও উত্তর মুন্সিবাজার, মৌলভীবাজর সদর উপজেলার টি সি মার্কেট, কোর্ট মার্কেট, সরকার বাজার এবং শেরপুর পয়েন্ট বাজার। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, মৌলভীবাজার জেলার মাটি ও আবহাওয়া এইসব মৌসুমি ফল উৎপাদনে খুবই উপযোগী।
এখানে উৎপাদিত মৌসুমি ফল আকার বড়, রসালো এবং খেতে সুস্বাদু। তাই পাইকাররা এখানের বড় বড় হাট থেকে ফল সংগ্রহ করে দেশ বিদেশে রপ্তানি করে থাকেন। আশার কথা হলো উল্লিখিত মৌসুমি ফলের মধ্যে বেশির ভাগ ফল বার মাসই উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষি অধিদপ্তর আরো জানায়, দেশীয় ফলের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। ফলে উদ্যোক্তার সংখ্যও বাড়ছে। নতুন নতুন ফল বাগান গড়ে উঠছে। জেলা জুড়ে ফল বাগানের সংখ্যা ১৮৮ টি। চলতি মৌসুমে এইসব বাগান থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকার ফল বিক্রি হবে বলে আশা করা যায়। জেলা চেম্বার্স অব কমার্স সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন জানান, মৌলভীবার জেলায় ছোট বড় প্রায় ২৩ টি মৌসুমি ফলের পাইকারী হাট আছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।