পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে গুলিবর্ষণে দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় ২৭ জন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রোববার দুপুরে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ঘটনার পর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো হাজীরহাট এলাকার কিশোর আবুল কালামের ছেলে আরাফাত হোসেন মাহবুবুল (১৬) ও বলরামপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (১৯)। আহতরা চিকিৎসাধীন আহতদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় হাজারো শিক্ষার্থী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আবদুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করেন পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ খানসহ তার নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাহিদুল ও মাহবুুবুল নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে সাময়িক সময়ের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মৃত্যুর খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে আবারো জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে দফায় দফায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কারা গুলিবর্ষণ করেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অর্ধশতাধিক জন ভাই আহত হয়। তাদেরকে আমরা দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালে দুই মারা গেছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।