প্যারিস অলিম্পিকের দ্রুততম মানবী হওয়ার পর উদ্যাপনটা এমনই হওয়ার কথা। গতকাল স্তাদ দে ফ্রান্সে যেমনটা করেছেন জুলিয়েন আলফ্রেড। ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করার পর বুকের মধ্যে থাকা পরিচয় পত্রটা টান দিয়ে খুলে ফেললেন তিনি। এরপর আনন্দের কান্নায় ডুবে যান আলফ্রেড। যে কান্না থামতেই চাচ্ছিল না তার। আসলে এমন স্মরনীয় মুহূর্তে যে কারো কান্না থামতে চাইবে না। অলিম্পিকের ইতিহাসে সেন্ট লুসিয়ার প্রথম পদকের মালিক বলে কথা। সেটিও আবার সোনার পদক। অথচ ট্র্যাক এ- ফিল্ডে ঝড় তোলার আগে আলফ্রেডের পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল না। সকলেই ভাবছিলেন শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস সেমিফাইনালে অংশ না নেওয়ায় শা’কারি রিচার্ডসন সোনাটা জিততে যাচ্ছেন। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে নিজের বিশ্বাসকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন আলফ্রেড। বিশ্বাস করেছিলেন যে সেন্ট লুসিয়ার হয়ে প্রথম অলম্পিক পদকজয়ী তিনিই হবেন। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আলফ্রেড সোনা জয়ের পর বলেছেন,‘সব সময়ই বলে এসেছি, সেন্ট লুসিয়ার প্রথম অলিম্পিক পদকজয়ীদের একজন হতে চাই। এখন আমি অলিম্পিক গেমসে প্রথম স্বর্ণ জয়ী। ঘুম থেকে উঠে লিখে রাখছিলাম জুলিয়ান আলফ্রেড, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। তাই মনে করি নিজের উপর বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ রুপাজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের শা’কারিকে পেছনে ফেলে ১০.৭২ সেকেন্ডে স্বর্ণ জিতেছেন আলফ্রেড। ইতিহাস গড়া এমন মুহূর্তে বাবাকে মনে পড়েছে তার। ১১ বছর আগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তার বাবা। সোনার পদক বাবাকে উৎসর্গ করে তিনি বলেছেন,‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঈশ্বর, আমার কোচ এবং সবশেষ আমার বাবার জন্য এটা। বাবা বিশ্বাস করতেন, আমি পারব। ২০১৩ সালে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মঞ্চে আমাকে দেখতে পারলেন না। তার মেয়ে অলিম্পিয়ান হওয়ায় সব সময়ই তিনি গর্ব বোধ করবেন।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।