নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গভবনে আজ রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নাম চূড়ান্ত হবে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে সেনাবাহিনীর একটি কোস্টার বাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়কসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এর ঠিক এক ঘণ্টা ৩৩ মিনিট পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা একটি গাড়ি বহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। বহরে ১০টির বেশি গাড়ি ছিল।
এরপরই শুরু হয় বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বৈঠক।
এর আগে, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার প্রস্তাব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। মঙ্গলবার ভোর ৪টার পর ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এ প্রস্তাব দেন তারা।
ভিডিও বার্তায় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই রূপরেখা ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সকালের মধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই। রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ থাকবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও আমরা সকালের মধ্যে ঘোষণা করব।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।