ডেস্ক রিপোর্ট: পণ্য বিক্রির জন্য ক্রেতাদের আগ্রহী করতে বিক্রেতারা বর্তমানে যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করেন, সেগুলোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো, অফার ঘোষণা করা। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রির জন্য নানা ধরনের অফার দিয়ে থাকে। পণ্য কিনলে অফার বা কোনও পুরস্কার হালাল হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত শর্তগুলো পাওয়া যাওয়া আবশ্যক—
১. পণ্যের দাম ন্যায়সঙ্গত স্বাভাবিক মূল্যে কেনাবেচা হতে হবে। অফারের কারণে পণ্যের দাম ন্যায়সঙ্গত স্বাভাবিক মূল্য থেকে বেশি হওয়া যাবে না। এমন যেন না হয় যে প্রথমে দাম বাড়িয়ে ধরলো, এরপর অফারে লটারির মাধ্যমে পুরস্কার দিলো। এটা কিমার বা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত।
২. অফার বা পুরস্কার ভেজাল বা নিম্ন মানের পণ্য বিক্রির মাধ্যম হতে পারবে না। কেননা এমন পণ্যের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম।
৩. পণ্য ক্রয়ের মূল উদ্দেশ্য হবে পণ্য ব্যবহার করা। শুধু পুরস্কার পাওয়ার উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয় না করা, টাকা না খাটানো। এ বিষয়ে মুফতি মাসুম বিল্লাহর মতে, উপরোক্ত শর্তাদি পাওয়া গেলে অফারযুক্ত পণ্য ক্রয় করা বা বিক্রেতা কর্তৃক কোনও পণ্যে পুরস্কার দেওয়া হলে তা গ্রহণ করা জায়েজ এবং এর মাধ্যমে প্রাপ্ত পুরস্কারও জায়েজ হবে। বিপরীতে ওই শর্তগুলো পূর্ণ না হলে পণ্য কেনাবেচা, ওই লটারি ও এর মাধ্যমে প্রাপ্ত পুরস্কার জায়েজ হবে না।তিনি বলেন, অতএব, ক্রেতা শুধু পুরস্কার পাওয়ার উদ্দেশ্যেই পণ্য না কিনলে ও পণ্যের মূল্য না বাড়ালে এবং ক্রেতাদের কোনোরূপ ধোঁকা না দিলে ওই ধরনের কেনাবেচা করা
এবং লটারিতে বিজয়ী হলে পুরস্কার গ্রহণ করা জায়েজ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।