ডেস্ক রিপোর্ট: শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। হাড়, দাঁত ও পেশী সুস্থ রাখতেও এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। জেনে নিন ভিটামিন ডি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য। ভিটামিন ডি-কে সানশাইন ভিটামিন বলা হয়। কারণ ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসলে শরীর এটি কোলেস্টেরল থেকে তৈরি করে।
ভিটামিন ডি এর অভাব প্রভাব পড়ে হাড়ের ঘনত্বে। এর ঘাটতি অস্টিওপরোসিস এবং হাড় ভাঙা রোগের কারণ হতে পারে।
ভিটামিন ডি সরাসরি কোষের সাথে যোগাযোগ করে যেগুলো সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য কাজ করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি আমাদের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি এর খুব ভালো উৎস হলো ডিমের কুসুম। অন্য সব পুষ্টি উপাদানও আছে ডিমের কুসুমে। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন আর কুসুমে ফ্যাট ও মিনারেল পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে ভিটামিন ডি।
সকাল এগারোটা থেকে দুপুর দুইটার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ পোহালে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। হাড় এবং পিঠের নিচের ব্যথা অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি মাত্রার লক্ষণ হতে পারে। ভিটামিন ডি শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ উন্নত করে হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দই, দুধ, মাশরুম, ওটস, তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছ, গরুর কলিজা ও লাল মাংসে মেলে ভিটামিন ডি। মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং অনিদ্রার মতো উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর কারণে। ভিটামিন ডি এর অভাবে মাত্রাতিরিক্ত চুল ঝরতে পারে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।