ডেস্ক রিপোর্ট: ক্ষুধা লেগেছে বলে বিস্কুটে কামড় বসালেন। কিন্তু দেখলেন ক্ষুধা তো কমেইনি, উল্টো আরও বেড়ে গেছে! কিছু খাবারের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। আমাদের ক্ষুধাবোধ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে নির্দিষ্ট কিছু খাবার। সাধারণ কম ফাইবারযুক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরে আরও ক্ষুধা লাগতে থাকে। জেনে নিন কোন কোন খাবার আমাদের আরও ক্ষুধার্ত করে তোলে।
১। কেক এবং কুকিজ
কেক এবং কুকিজ খেলে ক্ষুধা লাগে আরও বেশি। ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার ক্ষুধাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে গমের আটা, পিনাট বাটার, বাদাম, বীজ এবং শুকনো ফল ব্যবহার করতে পারেন কেক ও কুকিজে। ভারসাম্যপূর্ণ খাবারের সাথে এই পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা যেতে পারে।
২। ফলের রস
ফলের রসে ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিদ যৌগগুলোর মতো কিছু পুষ্টি থাকে। ফাইবার, ফ্যাট এবং প্রোটিনের মতো পুষ্টি উপাদান একেবারেই থাকে না ফলের রসে। ফলে দ্রুতি ক্ষুধা লেগে যায় ফলের রস খেলে। ফলের রসের বদলে তাই আস্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। আস্ত ফল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্মুদি। ফলে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখবে।
৩। কম চর্বিযুক্ত দই
খাবার যত বেশি চিবিয়ে খাবেন, ততই এটি আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। কম চর্বিযুক্ত দই এক্ষেত্রে দ্রুত ক্ষুধাবোধ বাড়িয়ে দিতে পারে। পেট ভরাতে চাইলে দইয়ের সঙ্গে তাজা ফল ও বাদাম মিশিয়ে নিন।
৪। ডিমের সাদা অংশ
আপনি যদি কুসুম ছাড়া ডিম খান, তবে দ্রুতই ক্ষুধা লেগে যাবে। কুসুম হলো প্রাকৃতিক সম্পূর্ণ প্রোটিন যা অ্যামিনো অ্যাসিডে পূর্ণ। শরীর কোষ তৈরি করতে ব্যবহার করে অ্যামিনো অ্যাসিড। গবেষণা বলছে, একটি সম্পূর্ণ ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
৫। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
ভাবছেন আলুর মতো কার্বোহাইড্রেটে পূর্ণ খাবার খেলে কেন ক্ষুধা লাগবে? আলু সেদ্ধ বা তরকারি খেলে ক্ষুধা দূর হবে। কিন্তু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তেলে ভাজার ফলে সেগুলো হারিয়ে ফেলে পুষ্টিমান। এগুলোতে সাধারণত লবণ এবং চর্বি থাকে বেশি পরিমাণে।
৬। ডোনাট
চিনিযুক্ত খাবার ডোনাটে সেভাবে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। উপরন্তু ক্যালোরি বাড়ায় এটি। এতে ব্যবহৃত সাদা ময়দা দ্রুত চিনিতে ভেঙে যায় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। ডোনাট খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ক্ষুধার্ত হবেন নিশ্চিতভাবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।