খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:০৯, ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার

editorbd
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার

সম্পাদকীয়: অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় জলযান ক্রয়ের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ কার্যদিবসে ৪ আগস্ট বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কেনাকাটা সংক্রান্ত একটি ফাইল উপস্থাপন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ ৪ আগস্ট আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের হামলায় সারা দেশ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএর ওই ফাইলে ২৯০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের চারটি কাটার সাকশন ড্রেজার, চারটি ক্রেনবোট ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার দরপত্র আহ্বানের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তোলা ওই প্রস্তাবটি সম্প্রতি অনুমোদন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। টেন্ডারে বিশেষ শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। ওই শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের দু-একটি ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার যোগ্য হবে না। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতেই এ টেন্ডারে এমন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, আগামী জুনে প্রকল্পটি শেষ হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে এসব নৌযান সংগ্রহ করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের বহরে বর্তমানে ৪৫টি ড্রেজারসহ ৩৩০টি ড্রেজিং সংক্রান্ত জলযান রয়েছে। জনবল সংকট ও জ্বালানি তেলের অভাবে অনেক জলযান দীর্ঘদিন কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এছাড়া ১২টি ড্রেজার এবং ৬৭টি জলযান নির্মাণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। বেসরকারি খাতেও রয়েছে শতাধিক ড্রেজার। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনার বিষয়টি এড়িয়ে কেন ওই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

দেশে অর্থনৈতিক সংকট ও রিজার্ভ কমে যাওয়ায় উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের যানবাহন ক্রয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে ৪ জুলাই পরিপত্র জারি করে অর্থ বিভাগ। ওই পরিপত্রে জলযান কেনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ড্রেজার ক্রয়ের দরপত্র আহ্বানের রহস্য উদ্ঘাটনে দেরি করা হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকে যাবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এ দরপত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বস্তুত অর্থনৈতিক সংকটের এ সময়ে সব ধরনের কেনাকাটার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এর ব্যত্যয় ঘটলে এ ধরনের কেনাকাটায় বিশেষ গোষ্ঠী উপকৃত হলেও দেশের মানুষ কতটা উপকৃত হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। সবকিছু খতিয়ে দেখে অন্তর্বর্তী সরকার এ দরপত্রের বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।