জাতীয় ডেস্ক:
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ‘জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), এসবি, সিআইডি, র্যাব এবং জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়মিত মনিটর করছে। দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ যেন আর মাথা তুলতে না পারে, সে জন্য জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ অত্যন্ত কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামিনে থাকা জঙ্গি ও অন্যান্য অপরাধীরা যাতে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য তাদের ওপর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ সতর্ক ও কড়া নজরদারি করছে। যদি তারা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত মনিটর করছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ অভিযানে এক সপ্তাহে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তথ্যও জানানো হয়। এতে বলা হয়—যৌথবাহিনীর অভিযানে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১১১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৫১ জনকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক সপ্তাহের অভিযানে উদ্ধারকৃত ১১১টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রিভলবার-৭ টি, পিস্তল-৩০ টি, রাইফেল-৯ টি, শটগান-১৫ টি, পাইপগান-৩ টি, শুটার গান-১৬ টি, এলজি-৫ টি, বন্দুক-১৫ টি, একে ৪৭-১ টি, গ্যাস গান-১ টি, চাইনিজ রাইফেল-১ টি, এয়ারগান-১ টি, এসবিবিএল-৩ টি, এসএমজি-৩টি ও টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার-১ টি। এ সময় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।