অনলাইন ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার ‘টেবল মাউন্টেনে’ হাইকিং করার সময় নিখোঁজ হওয়া এক আমেরিকান নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ব্রুক শেউভরন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপটাউনে অবস্থিত একটি এনজিওতে ইন্টার্নশিপ করছিলেন।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সী ব্রুক গত শনিবার নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর ব্যবহার করা ট্র্যাকিং অ্যাপটি আপডেট হওয়া বন্ধ করে দিলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, ব্রুকের মরদেহটি গত রোববার ‘ডেভিলস পিক’ বা ‘শয়তানের চূড়া’ নামে পরিচিত একটি পাহাড়ি এলাকায় আবিষ্কৃত হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার টেবল মাউন্টেন এবং অন্যান্য জাতীয় উদ্যানগুলো পরিচালনা করা সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল পার্কস (সানপার্কস) জানিয়েছে, পাহাড়ে ওঠার জন্য ব্রুক শনিবার দুপুরে তাঁর ডেরা থেকে বেরিয়েছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরা তাঁর ট্র্যাকিং অ্যাপে কোনো আপডেট না পেয়ে এবং ফোনে কোনো যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশকে খবর দেয়।
এ অবস্থায় শনিবারই রেঞ্জারদের একটি দ্রুত অনুসন্ধান দল এবং বন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মীরা ব্রুককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। পরের দিন রোববার একটি হেলিকপ্টারও এই অনুসন্ধানে যোগ দেয়। একপর্যায়ে একটি পাহাড়ের ঢালে ব্রুকের মরদেহটি শনাক্ত করা হয়।
সানপার্কস কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রুকের মৃত্যুর কারণ ও ঘটনাস্থলের চারপাশের পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ব্রুকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি ফেসবুক পোস্টে তাঁর বাবা স্টিভ শেউভরন্ত জানিয়েছেন, খবরটি তাঁর পরিবারকে বিধ্বস্ত করেছে। তিনি লিখেছেন, ‘ঈশ্বর আমাকে এবং আমাদের সাহায্য করুন।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ টেবল মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কে কোনো ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় না বলে দাবি করেছে। তবে একটি পৃথক পোস্টে তারা দর্শনার্থীদের একা একা হাইকিং এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।