বিনোদন ডেস্ক:
গতকাল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দীপ্ত প্লেতে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘ত্রিভুজ’। সমাজের তিন স্তরের তিন দম্পতির গল্প নিয়ে এটি বানিয়েছেন নির্মাতা আলোক হাসান। তিন দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়-আনিকা কবির শখ, ইমতিয়াজ বর্ষণ-ফারিন খান ও সোহেল মণ্ডল-মৌসুমী মৌ। তবে সিনেমার পোস্টার ও ট্রেলারে জায়গা পাননি জয়। এ নিয়ে আক্ষেপ করলেন অভিনেতা। শঙ্কা জানালেন নিজের অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে।
শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেন, ‘এত সুন্দর একটি ওয়েব ফিল্ম মুক্তি পেল অথচ এর পোস্টার কিংবা ট্রেলারে আমাকে দেখা গেল না। কেন আমাকে রাখা হয়নি, এর উত্তর আমার জানা নেই। এই সিনেমার অন্যতম প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু প্রচারণায় আমাকে বাদ দেওয়া হলো। স্বাভাবিকভাবেই আমার খারাপ লাগার কথা। পোস্টার ও ট্রেলারে নিজেকে না দেখে নিজের কাছে খুব ছোট মনে হয়েছে। আমার অপরাধটা কী?’
জয় আরও বলেন, ‘আমি তো নতুন অভিনেতা নই। আমার অভিনয় নিয়ে তো কারও প্রশ্ন নেই। তাহলে কেন আমাকে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্র তো বলেনি এই শিল্পীদের নিয়ে কাজ করা যাবে আর বাকিদের নিয়ে কাজ করা যাবে না। তার মানে আমরাই আমাদের ক্ষতি করছি। কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে পোস্টারে, ট্রেলারে রাখা হলো না। অজ্ঞাত কারণেই আমাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হচ্ছে। ত্রিভুজের নির্মাতা থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। কারও প্রতি আমার কোনো আক্ষেপ নেই। তবে কষ্ট আছে।’
প্রচারণা থেকে বাদ দেওয়ায় কারও প্রতি অভিযোগ না থাকলেও কষ্ট আছে অভিনেতার। শঙ্কিত অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়েও। সেই কষ্টের কথা জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ছোট ছোট ব্যাপারকে বড় বানিয়ে ট্রল করে আজকে আমার রিজিক কেড়ে নিলেন। রায়হান রাফীর “ব্ল্যাক মানি”তেও আমি ছিলাম। একদিন ফোন করে বলল কর্তৃপক্ষ বলেছে আপাতত আপনাকে অ্যাভয়েড করতে। অথচ তিন মাস ধরে আমি রাফীর এই কাজটা করার স্বপ্নে ছিলাম। তাহলে কি ধরেই নেব, “বিদায়” অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়?’
এ বিষয়ে জানতে নির্মাতা আলোক হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। দীপ্ত প্লের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিনেমা মুক্তির আগে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রমোশনে তাঁকে না রাখার কথা বলেন। সেই হিসেবে সিনেমার পোস্টার ও ট্রেলার তৈরি হয়েছে। অথচ, জয়ের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে পারলে তা এই সিনেমার জন্য পজিটিভ হতো। সিনেমার পোস্টার, ট্রেলার তো আরও আগেই রিলিজ হয়েছে, তিনি সেগুলো দেখেছেন, কোনো আপত্তি জানাননি। এখন হঠাৎ করে তাঁর এই ক্ষোভ আমাদের জন্য বিব্রতকর।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।