লন্ডন অফিস:
ভার্চুয়াল জগতে ছড়িয়ে দেওয়া মিথ্যাচারের কারণে ব্রিটেনে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশটির ‘মাতাল’ লোকজনও প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছে। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, অর্থনৈতিক সংকট ও দৈনন্দিক জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে জনগণ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
‘উগ্র ডানপন্থি দুষ্কৃতকারীরা ভার্চুয়াল জগতে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যাচারে প্রভাবিত হয়ে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালাচ্ছে’। ব্রিটিশ সরকার ও তার অর্থে পরিচালিত গণমাধ্যমগুলো বিশেষ করে বিবিসি দেশটির রাজপথে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনকে এভাবেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
বিবিসির সংবাদদাতা দাবি করেছেন, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা তথ্য পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। দাঙ্গায় উস্কানিদাতারা সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহার করে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং বিক্ষোভের সময় ও স্থান ঘোষণা করছে। দুষ্কৃতকারীরা অভিবাসীদের পাড়ায়-মহল্লায় হামলা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার দাঙ্গাকারীদের উগ্র ডানপন্থি দুষ্কৃতকারী বলে অভিহিত করেছেন।
এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ সম্পর্কে বিবিসি আরও বলছে, উগ্র ডানপন্থিদের মধ্যে রয়েছে গণহত্যাকারী নাৎসিরা। সরকার তাদেরকে সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেছে। তারা সমাজকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়। দাঙ্গাকারীদের একাংশ ছিল দুষ্কৃতকারী ও ডাকাত। কেউ কেউ ছিল মাতাল, যারা রাস্তায় নেমে মাতলামি শুরু করে দিয়েছিল। কেউ অনলাইনে থাকলেই তারা তাকে উস্কানি দিয়ে রাস্তায় টেনে নামিয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।