ডেস্ক রিপোর্ট:
রাসূলুল্লাহ সা. যতবার ওমরাহ করেছেন, তিনি মক্কার বাইরে থেকে মক্কায় প্রবেশের পূর্বে মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করেছেন। কিন্তু মক্কায় প্রবেশের পর মক্কা থেকে বের হয়ে হারাম এলাকার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে, তিনি কখনো ওমরাহ করেন নি।
এমনকি হিজরতের পূর্বে রাসূল ১৩ বছর মক্কায় অবস্থান করেন। এ সময় তিনি কখনো মক্বার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে ওমরাহ করেননি। হজের সফরে রাসূল সা. তার সঙ্গী-তামাত্তু হজকারীদের ওমরাহ আদায়ের পর মক্কায় হালাল অবস্থায় অবস্থান করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, তোমরা হালাল অবস্থায় মক্কায় অবস্থান কর। অতঃপর আট তারিখ ইয়ামুত তারওয়িয়ার দিন তোমরা হজের ইহরাম বাঁধ। (মুসলিম ২১৬)
তাই সুন্নাত হচ্ছে, হাজীরা হজের সময় তামাত্তুর ওমরাহ শেষ করে, হালাল অবস্থায় মক্কা অবস্থান করবেন; হজের সফরে একাধিক ওমরাহ না করা। বারবার উমরা না করে, বার বার তাওয়াফ করাই হল অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে যখন ওমরাহকারীদের খুব ভীড় থাকবে তখন বেশি বেশি তাওয়াফ না করে বেশি বেশি সালাত, কুরআন তেলাওয়াত ও জিকিরে ব্যস্ত থাকাই উত্তম।
তারপরও যদি কোনো মানুষ ওমরাহ করতে চায় তাহলে জমহুর মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরামের মতে তারও অবকাশ আছে। তার জন্য নতুন করে ইহরাম বাঁধতে হবে। সেক্ষেত্রে তানঈম নামক স্থানে অবস্থিত মসজিদে আয়েশা থেকে উমরার ইহরাম করতে পারেন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।