ঘূর্ণিঝড়ের দোয়া - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৫:১৬, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ঘূর্ণিঝড়ের দোয়া

editorbd
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড়ের দোয়া

ডেস্ক রিপোর্ট:

পৃথিবীতে প্রাকৃতিক নিয়মেই ঝড়-বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে। মহান রাব্বুল আলামিনই সব কিছুর মালিক। তার নির্দেশেই এসব কিছুই হয়ে থাকে। আর প্রকৃতি আল্লাহর দান। মনুষ্য বসবাসের উপযোগী করেই প্রকৃতিকে সাজানো হয়েছে। প্রকৃতি মহান আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট, তিনি কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত।

মাঝেমধ্যে প্রকৃতি বিরূপ রূপ ধারণ করে। রূঢ় ও রুষ্ট হয়, যাকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে থাকি। যেমন ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ভারি বর্ষণ, বন্যা, খরা, দাবানল, শৈত্যপ্রবাহ; দুর্ভিক্ষ, মহামারি, ভূমিকম্প, সুনামি প্রভৃতি।

ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহতায়ালা মানুষকে সতর্ক করতে পবিত্র কুরআনুল কারিমের একাধিক আয়াত নাজিল করেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে, তার নির্দেশে বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৬৪)

তবে মানুষের গুনাহ ও কৃতকর্মের কারণেই এ ধরনের বিপর্যয় ঘটে থাকে। সমাজে অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশি আশঙ্কা থাকে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। ( সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)। বিভিন্ন হাদিসে রাসূল (সা.) প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। রাসূল (সা.) নিজেও উম্মতের ওপর এসব দুর্যোগের ব্যাপারে শঙ্কিত ছিলেন। এই উম্মতকে যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে একসঙ্গে ধ্বংস করা না হয় এ জন্য রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।