এই সরকারের একমাত্র কাজ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা: মির্জা ফখরুল – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:০৫, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

এই সরকারের একমাত্র কাজ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা: মির্জা ফখরুল

editorbd
প্রকাশিত অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এই সরকারের একমাত্র কাজ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা: মির্জা ফখরুল

Manual7 Ad Code

অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাত্র কাজ দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের আয়োজন করা। কিন্তু জোর করে চাপিয়ে কোনো সংস্কার কখনোই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

Manual1 Ad Code

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য একটাই এবং দায়িত্বটাও তাদের একটাই দিয়েছি। সেটা হচ্ছে, অতি দ্রুত যতটুকু সম্ভব যে ভয়াবহ জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করে একটা অর্থবহ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয় যে পরিবেশ তা সৃষ্টি করা এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা।’

দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই চাইছি যে সংস্কার দ্রুত হোক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে সমস্ত সংস্কার করতে হবে, সেগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় আছে যেগুলো অনেক সময়সাপেক্ষ। দুই নম্বর হচ্ছে যে এই সংস্কারগুলো… কারা এটাকে গ্রহণ করবে? জনগণ। জনগণের সমর্থন ছাড়া তো সংস্কার সম্ভব হবে না এবং এটা টেকসইও হবে না। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সংস্কার কখনোই একসেপটেবল হয় না।’

Manual2 Ad Code

এখন সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের এই সময়টা খুব সতর্কতার সঙ্গে পার করতে হবে। আমরা যারা রাজনীতি করছি, আমরা যারা পরিবর্তন চেয়েছি, আমরা যারা ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করতে চেয়েছি, আমরা যারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠন করতে চেয়েছি, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি, তাঁদের খুব ধৈর্য ধরে অন্তত সতর্কতার সঙ্গে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। বিশেষ করে সরকারের যে প্রধান উপদেষ্টা, তাঁকে আমরা সবাই সম্মান করি। আমরা আশা করি, তিনি সফল হবেন। আমি আশা করব, আমাদের যাঁরা সরকারে আছেন এবং উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁরা এমন কোনো কথা বলবেন না বা এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।’

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিদ্যমান সংবিধান ’৭২ সালেই প্রতিষ্ঠাকালে একটা স্বৈরাচারী ক্ষমতা কাঠামোর সংবিধান এই কথা সেই সময়ের জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্যভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। সে সময় মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ন্যাপ মোজাফফর নেতা প্রফেসর মোজাফফর আহমদও বলেছিলেন, বাহাত্তর সালে যেভাবে সত্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে গণপরিষদ ঘোষণা করা হলো—তার মধ্যদিয়ে একাত্তর সালের মুক্তিসংগ্রামকে অস্বীকার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থান মানুষের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষাকে আরও প্রসারিত করেছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন বাংলাদেশের যাত্রা—এই দুটোকেই আমাদের ধারণ করতে হবে। মানুষের যে স্বপ্ন তৈরি হয়েছে, তা ধরতে পারার চ্যালেঞ্জই আগামী দিনে রাজনৈতিক দলগুলোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’

Manual8 Ad Code

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনের যাত্রাটা শুরু হলো। নির্বাচনের ট্রেন যে যাত্রাটা শুরু করেছে—এই নির্বাচনী ট্রেন কোথাও থেমে যাবে না। কোনো খাদে তারা পড়বে না। আমরা আশা করি, দক্ষ, যোগ্য, সম্মানীয় ব্যাক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন হবে।’

Manual7 Ad Code

জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কমিশন তো ঘুমিয়ে গিয়েছে। আপনাদের সব কমিশন ঘুমন্ত হয়ে গিয়েছে, এদের জাগান। এদের বলেন, মানুষ কিন্তু সংস্কার দেখতেছে না। মানুষ কিন্তু শান্তির জন্য, সুখের জন্য, ভাত খাওয়ার জন্য প্রাণ দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য প্রাণ দেয় নাই। তাই সংস্কার না করে যদি নির্বাচন হয়, কোনো দলীয় সরকার জনগণের অধিকার দিতে চাইবে না; ডেমোক্রেসি হবে না। আবার দলীয় শাসন কায়েম হবে। তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু আবার অভ্যুত্থান করবে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code