ট্রাম্প-কমলাকে নিয়ে যে রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণী করল এআই - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:৪২, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ট্রাম্প-কমলাকে নিয়ে যে রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণী করল এআই

editorbd
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২৪
ট্রাম্প-কমলাকে নিয়ে যে রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণী করল এআই

অনলাইন ডেস্ক:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। তবে এই ভোটে কে জিতবেন তা নিয়ে কল্পনা-জল্পনা এখনো শেষ হয়নি। বিভিন্ন জরিপ, কার্টুন ইত্যাদি এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পূর্বাভাস দিচ্ছে। এবার এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। প্রখ্যাত জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে এআই চ্যাটবট জানিয়েছে আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে অবাক করা পরিবর্তন এবং সম্ভাব্য সামাজিক অস্থিরতা শুরু হতে পারে।

বিভিন্ন জরিপ এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে একটি ভোটের ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এই পরিস্থিতিতে চ্যাটজিপিটি একটি ভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। এআই বলেছে, সম্ভবত ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিস কেউই সফল হবে না। বরং, কোনো এক ‘অপ্রত্যাশিত শক্তি’ অন্ধকারের গর্ভ থেকে উঠে এসে ক্ষমতা দখল করবে।

চ্যাটজিপিটি আরও একধাপ এগিয়ে বলেছে, ‘শেষ মুহূর্তে এক অপ্রত্যাশিত মোড়ের কারণে, শান্তিতে কেউই শাসনক্ষমতায় যেতে পারবে না। বরং আলোচনায় না থাকা একটি নাম উঠে আসবে অন্ধকার থেকে, যে দখল করবে ক্ষমতা। ট্রাম্প এবং কমলা যতই শক্তি দিয়ে লড়াই করুক না কে, নেতৃত্ব দেবে অন্য কেউ—যে কিনা উঠে আসবে অন্ধকারের গর্ভ থেকে।’

ট্রাম্প ও কমাল হ্যারিসের রানিং মেট হিসেবে লড়ছেন ওহাইওর সিনেটর জেডি ভ্যান্স ও মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ। এই দুজনের কেউই মার্কিন রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত-আলোচিত মুখ নন। চ্যাটজিপিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাহলে কী এই ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল প্রার্থীদের মধ্যে কোনো একজন সেই রহস্যময় চরিত্র হতে পারেন? জবাবে চ্যাটজিপিটি বলেছে, ‘ভবিষ্যৎই তার উত্তর দেবে।’

নির্বাচনী পূর্বাভাসের বাইরে গিয়ে চ্যাটজিপিটি যে অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছে, তা মার্কিন নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক উত্তেজনার বিষয়ে। চ্যাটজিপিটি উল্লেখ করেছে, নির্বাচনের সময় প্রতিবাদ, সমাবেশ ও সম্ভাব্য সহিংসতার এক ভয়াবহ চিত্র, যা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল আক্রমণের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। চ্যাটজিপিটি বলেছে, ‘ইগলের দেশে, বিভাজনে ক্ষতবিক্ষত সমাজে জন্ম নেবে বিদ্রূপ ও অস্থিরতা। প্রতিবাদ, মিছিল এবং সমাবেশ গর্জে উঠবে, দেশ ঢেকে যাবে কালো মেঘে।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।