অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের (ইউএস ইন্দো-প্যাকম) উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোশুয়া এম. রাড নেপালে পৌঁছেছেন। গতকাল শুক্রবার চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে কাঠমান্ডুতে পৌঁছান তিনি। ভারত ও বাংলাদেশ সফর শেষে কাঠমান্ডুতে এসে পৌঁছান রাড। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই সফরে লে. জেনারেল রাড নেপালের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল অশোক সিগদেলসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের ঠিক আগে এবং ডিসেম্বরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির চীন সফরের আগে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গৌরব কুমার কেসি জানান, জেনারেল রাডের সফরে নির্দিষ্ট কোনো ইস্যু নেই। তবে তিনি নেপালের কিছু সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এর আগে বাংলাদেশ সফরে জেনারেল রাড বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
কাঠমান্ডুতে লে. জেনারেল রাড নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল সিগ্দেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং কাভ্রেপালাঞ্চকের পানচখালে অবস্থিত বীরেন্দ্র শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও শিবপুরীরে নেপাল আর্মি কমান্ড ও স্টাফ কলেজ পরিদর্শন করবেন বলেও জানান মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গৌরব।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে জেনারেল রাডের সফরের বিষয়ে বলে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাডকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। আমরা একসঙ্গে সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
এদিকে, ভারতে সফরের সময় লে. জেনারেল রাড ভারতের চিফ অব ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ টু দ্য চেয়ারম্যান চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিআইএসসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জনসন পি ম্যাথিউর সঙ্গে ২১তম মিলিটারি কো-অপারেশন গ্রুপ (এমসিজি) বৈঠকে সহসভাপতিত্ব করেন।
এই বৈঠকের বিষয়ে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বৈঠকের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সামরিক সহযোগিতা জোরদার করার অভিন্ন লক্ষ্য অগ্রসর হয়েছে, যেখানে সাইবার ও মহাকাশসহ সব ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বিবৃতি অনুসারে জেনারেল রাড বলেছেন, ‘আমাদের একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। প্রাচীনতম ও বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের সম্পর্ক শুধু শাসনব্যবস্থাই নয়, এটি আমাদের পরিচয় ও আমাদের মূল মূল্যবোধকেও সংজ্ঞায়িত করে।’
জেনারেল রাড আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে ২০২৫ সালে নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্র-ভারত প্রতিরক্ষা কাঠামোর নবায়ন সবচেয়ে বড় সুযোগ। এটি আমাদের ভবিষ্যতের পথচলা নিয়ে লিখতে এবং আমাদের সম্পর্ক ও সহযোগিতার উন্নতির ইতিবাচক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সুযোগ তৈরি করবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।