কুলাউড়া শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়- কমিটির ১২ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:৪৭, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

কুলাউড়া শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়- কমিটির ১২ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

editorbd
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২৪
কুলাউড়া শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়- কমিটির ১২ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ১২ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গ্রাচুয়িটি তহবিল হতে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিচালনা কমিটির ৩ সদস্য এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন।

শাহসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোমিন চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী সদস্য নাদিম মাহমুদ এবং শিক্ষক প্রতিনিধি প্রনয় কুমার পারের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শ্ষিক মো: আব্দুল কাইয়ুম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যা মোছাদ্দিক আহমদ নোমানসহ কমিটির ১২ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গ্রাচুয়িটি ফান্ডের ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। শুধু তাই নয় খাতায় ৩ পৃষ্ঠার একটি সভার একটি কার্যবিবরণি লিপিবদ্ধ করেন। সদস্যরা গত ২০ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ইউএনও মো: মহিউদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দেন।

এদিকে তদন্তের খবর পেয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালান প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাইয়ুম। অভিযোগকারী সদস্যদের দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারেরও অপচেষ্টা চালান।

গত ০৭ নভেম্বর সরেজমিন তদন্ত করে কুলাউড়া উপজেরা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জহুরুল হোসেন জানান, তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন। আপাতত তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাইয়ুম জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। আমি সেখানে যাওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন পড়ে। তাই জরুরি ভিত্তিতে কমিটির সবাইকে একত্রিত করে সভা করা ওইসময় সম্ভব হয়নি বলে আমি নিজে সবার স্বাক্ষর দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছি। সবার মতামত ছাড়া কাজটি করা ঠিক হয়নি, এজন্য আমি অনুতপ্ত।  কমিটির সকল সদস্যদের কাছে আমি দু:খ প্রকাশ করছি।

এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।