স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার বিকল্প নেই - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১:৩১, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার বিকল্প নেই

editorbd
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২৪
স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার বিকল্প নেই

সম্পাদকীয়:

মিডিয়ার সবচে অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ছাড়া মিডিয়া হয় না, হতে পারে না। নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া মানে কোনো পক্ষের ইশতেহার বা সরকারি তথ্যবিবরণী। কাজেই মিডিয়া কখনো নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। মিডিয়া মানেই ফ্রি। কাজেই আলাদা করে মুক্ত মিডিয়া বা ফ্রি প্রেস বলার দরকার পড়ে না। এই বিশেষণ একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।

তবে মুক্ত বা ফ্রি হলেই যে সব মিডিয়া ভালো হবে এমন কোনো কথা নেই। স্বাধীন মিডিয়াও মন্দ হতে পারে। সে পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে, তথ্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করতে পারে এবং তার সম্পাদকীয় বিবেচনা ও যোগ্যতা খুব ত্রুটিপূর্ণ বা দুর্বলও হতে পারে। যদি এমনটাও হয় তবুও সে মন্দ মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব না করার পক্ষে মত দিয়েছেন তাত্ত্বিক ও পণ্ডিত মানুষেরা। তারা বলেন- মন্দ ও ভালো মিডিয়ার মধ্যে প্রতিযোগিতায় মন্দগুলো এমনিতেই সংশোধিত হবে, নতুবা ঝরে যাবে।

এ কথার মানে তারা এমন একটা আদর্শ পরিস্থিতিকে অপরিহার্য বলে ধরে নিয়েছেন, যেখানে মন্দ মিডিয়া এবং সত্যনিষ্ঠ ও সৎ মিডিয়ার মধ্যে অবাধ প্রতিযোগিতা চলমান থাকে। এখন চট করে চলে আসুন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায়। এখানে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে এক ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা দোর্দণ্ড প্রতাপে বিরাজ করেছে। এই ফ্যাসিবাদ মিডিয়াসহ দেশ-সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র ও অঙ্গনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে গেছে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, ডিজিটালসহ গণমাধ্যমের প্রতিটি ধারাকেই এই ফ্যাসিবাদ করেছে দুর্নীতিগ্রস্ত, বিকৃত ও কলুষিত। মিডিয়ার স্বাধীনতাই কেবল তারা কুক্ষিগত করেনি, অনেক মিডিয়া বন্ধ করেছে। বেয়াড়া অনেক সাংবাদিককে এই ফ্যাসিস্টরা মেরে ফেলেছে। অনেককে গুম, অপহরণ, জেল-জুলুম ও দৈহিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। আর মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃস্থানীয় পদগুলোতে বেছে বেছে বশংবদদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইসব কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের মিডিয়া অঙ্গনে সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। যেখানে সাংবাদিকতা ও ক্ষমতাসীনদের স্তাবকতাকে সমার্থক করে ফেলা হয়েছিল।

সাংবাদিকতায় রিক্রুটমেন্টের ক্ষেত্রে আবারো অবাধ প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। মিডিয়ার শীর্ষ পদগুলোতে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। বিলুপ্ত করে দেওয়া স্বায়ত্বশাসিত প্রেস ট্রাস্টকে অবিলম্বে পুনরুজ্জীবিত করে ট্রাস্টের সংবাদপত্রগুলো পুনঃপ্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে ট্রাস্টের মালিকানায় নিউজ এজেন্সি, নিউজ পোর্টাল এবং রেডিও-টেলিভিশন চালু করা যেতে পারে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।