যুক্তরাষ্ট্র অফিস:
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টই নিজ দেশের মৌলিক কূটনীতি ও বিদেশ নীতির বাইরে বেরিয়ে একতরফা নিজের ইচ্ছামতো কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। ট্রাম্পকেও সেই পথেই হাঁটতে হবে। তবে সিনেট, প্রতিনিধি পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত প্রণয়নে বাড়তি কিছু সুবিধা দেবে নি:সন্দেহে; যেটি তার আগের ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পাননি।
একমেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সরাসরি নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরম্পরাগুলো। আন্তর্জাতিক বিশ্বে হ্যাজিমনি টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক-সামরিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা করে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দ্বি-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার বলয়ের রাষ্ট্রগুলোকে কোনঠাসা করে রাখতে ইউরোপ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে নানা সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সোভিয়েত পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রের একমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে রাশিয়া। এশিয়ার অর্থনৈতিক দৈত্য চীনের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণও একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র মাঝে মধ্যেই কোনো কোনো দেশে আক্রমণ করে বা মিত্র রাষ্ট্রকে আক্রমণে সহযোগিতা করে নিজেদের আধিপত্য জানান দেয়। যেমনটি বেশি বেশি করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ওয়ার অর টেররের ছদ্মাবরণে তিনি আফগানিস্তান, ইরাকসহ কয়েকটি দেশে শতাব্দীর সেরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। এছাড়া স্যামুয়েল পি হান্টিংটনের ক্ল্যাস অব সিভিলাইজেশন তত্ত্বের আলোকে যুক্তরাষ্ট্র ইসলাম ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের সম্ভাব্য শত্রু ধরে নিয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।