ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড প্রথমবার সিরিজ খেলতে আসলেও ২০১১ সালে একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে দলটির। সেবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশই। এর বাইরে দুই দল আরও ৫বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে দুইবার জিতেছে বাংলাদেশ, একবার আয়ারল্যান্ড। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। পরিসংখ্যান ছাড়াও কন্ডিশন ও শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে। বুধবার শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি। বাংলাদেশের লক্ষ্য নিজেদের কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ডের অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে সফরকারী দলটাকে ফাঁদে ফেলা।
ঐতিহ্যগত ভাবেই মিরপুরের উইকেট কিছুটা ধীরগতির হয়ে থাকে। এখানে স্পিনারদের বাড়তি সহায়তা থাকে। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র তার স্পিনাররাই। জ্যোতির দলে অফস্পিনার-বাঁহাতি স্পিনার যেমন আছেন, তেমন আছেন লেগস্পিনারও। সবমিলিয়ে আইরিশ ব্যাটারদের ফাঁদে ফেলার মতো যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। এমনিতেও ধীরগতির উইকেটে উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর কিছুটা দুর্বলতা থাকেই। সেই দুর্বল জায়গাতেই আঘাত হানতে চায় বাংলাদেশ।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আয়ারল্যান্ড যেসব ম্যাচ জিতেছে, সবগুলো ঘরের মাঠের কন্ডিশনে জিতেছে। এই কন্ডিশনে ওদের তেমন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। জেতার হার অনেক কম। ওদের সঙ্গে যতবার খেলেছি, আমাদের জয়ের হার অনেক বেশি। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, যে কেউ নিজের মাঠের কন্ডিশনে বেশি শক্তিশালী হয়।’
হোম কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া বাদে বাকি দলগুলোর সাথে দাপট দেখানোর প্রসঙ্গ এনে জ্যোতি আরও বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ের সিরিজগুলো যদি দেখেন, অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আমরা ভালোই খেলেছি। তাদের রেকর্ডটা কিন্তু তাদের মাঠেই। তবে এটা নিয়ে… আমি বলব প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু আমাদের ৬ পয়েন্ট নিতে হবে, খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটা। প্রতিটা ম্যাচ মূল্যবান। আমরা চেষ্টা করবো দাপট দেখিয়ে খেলতে। আয়ারল্যান্ড আমাদের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে নিচে। যদি তাদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেলতে না পারি, তাহলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে কীভাবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করব।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।