মৌলভীবাজারে বন্ধ ১৭৫ কমিউনিটি ক্লিনিক, সেবা বঞ্চিত ১০ হাজার মানুষ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ২:০১, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

মৌলভীবাজারে বন্ধ ১৭৫ কমিউনিটি ক্লিনিক, সেবা বঞ্চিত ১০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০১৮

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চাকুরী জাতীয়করণের দাবিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপিরা) টানা চার দিন থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। এর ফলে মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত সিএইচসিপিরা কমিউনিটি ক্লিনিকে না যাওয়ায় ১৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে তৃনমূলের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা যায়, সিএইচসিপিরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০ জানুয়ারি থেকে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রেখে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেন।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অবস্থান করেছেন আন্দোলনরত সিএইচসিপিরা। সিএইচসিপিদের অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বিএমএর সভাপতি ডা. সাব্বির হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাজাহান কবির চৌধুরী।

এ কর্মসূচীতে উপস্থিত আছেন সিএইচসিপি এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম উসমানী, সিলেট বিভাগীয় এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাবের, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, বর্তমান সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত, সাংগঠনিক সম্পাদক রজত চক্রবর্তী, রুবেল আহমদ প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত আছেন মৌলভীবাজার (সদর), কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগর উপজেলার সভাপতি/সম্পাদকসহ প্রায় শতাধিক সিএইচসিপি।  

সিলেট বিভাগীয় সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাবের জানান, ২০১১ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকে দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপি নিয়োগ পান।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট তাদের চাকুরী স্থায়ীকরণের জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বললেও এখনো বাস্তবায়ন করেনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন সত্যকাম চক্রবর্তী সিএইচসিপিদের কর্মবিরতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। আমাদের কাছে নির্দেশনা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে বিকল্প উপায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা করার। 

উল্লেখ্য, ১৮ জানুয়ারি সিএইচসিপি এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক শহিদুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টা কামাল সরকার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটে সাংবাদিক সম্মেলনে চাকুরী জাতীয়করণের জন্য কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা ও জেলাতে অবস্থান কর্মসূচী চলছে এবং ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হবে। এরপরেও যদি দাবি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচীতে যাবে সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডাররা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।