লোকমান হোসেন কাজী ঃ সম্প্রতি সিলেটের বরইকান্দির দুঘিরপাড়ার কাজী আলফু মিয়া চেয়ারম্যানের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা ও বাড়ীর সামনের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বরইকান্দির দুঘিরপাড়া এলাকার বিপুল সংখ্যাক প্রবাসীর উপস্থিতিতে গত ১১ মার্চ বার্মিংহামের বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্বারা অনেক অসহায় মানুষ নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে উল্লেখ করে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান। বরইকান্দির দুঘিরপাড়া এলাকার প্রবীণ কমিউনিটি নেতা কাজী দলা মিয়ার সভাপতিত্বে,কাজী বাবর উদ্দিন বাবুল ও আজিজুর রহমান মতির যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাজী তাজুল ইসলাম কয়েছ,কাজী ফয়জুর রহমান পারভেজ,নিজাম উদ্দিন,কাজী মোখলেছুর রহমান,কাজী রুপন,কাজী মিজানুর রহমান মিন্টু,কাজী আব্দুল কাইয়ুম,কাজী কামরান হোসেন,কাজী আকিব উদ্দিন,খলকু মিয়া,শহীদ মিয়া,কাজী আব্দুল কুদ্দুছ,নিজাম উদ্দিন,কাজী আলাউদ্দিন,আমির হোসেন,কাজী মোতাহার হোসেন,কাজী শাহাব উদ্দিন,কাজী কবীর,কাজী রুবেল,কাজী পারভেজ,কাজী নজরুল ইসলাম,মোহাম্মদ রাহিম,আমিনুর রহমান,কয়েছ আহমেদ,ইকবাল আহমেদ,আতাউর রহমান আলো,মোতালীব কাজী,কাজী ইফতেখার শহীদ,মাজহার কাজী আরিফ,কাজী আজিজ,কাজী মজিদ,কাজী শাহীন,হুমায়ুন কবীর,কাজী বদরুল ইসলাম সারোয়ার,আনোয়ার মিয়া,কাজী আমিরুজ্জামান,সুমিন,মুকিত,মোহাম্মদ জমির,খালেদ মিয়া,কাজী রহিম,কাজী মজির উদ্দিন,কাজী লায়েক উদ্দিন,মোবাশ্বির আহমেদ প্রমূখ। প্রতিবাদ সভা থেকে সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের চিকিৎসা ও সাহায্যের জন্য একটি তহবিলও গঠন করা হয়। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনায় আয়োজকরা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য হামলাকারী সন্ত্রাসী চক্রটি এই ঘঠনার পর একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে মিথ্যা মামলা দায়ের করে স্থানীয় নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সাধারণ জীবন যাত্রা ব্যাহত হওয়া ছাড়াও হয়রানির ভয়ে এলাকা পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে এবং আতংকিত মানুষজন ভয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া এমনকি অসুস্থ কিংবা বয়োঃবৃদ্ধদের চিকিৎসার জন্যও ঘর থেকে বেরুচ্ছে না। শিশু কিশোরদের স্কুলে যাওয়া আসার পথও ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই প্রশাসনের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করা উচিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।